জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ

লক্ষ্যটা নাগালেই রেখেছেন বোলাররা। সেটা আরো মামুলি বানিয়ে ফেললেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে আজ প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুইয়ানদের ১৫২ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর নিজেদের শততম টি-টোয়েন্টিতে টাইগাররা জিতেছে সাত বল ও আট উইকেট হাতে রেখে।

দাপুটে এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আগামীকাল শুক্রবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে মোকাবেলা করবে টাইগাররা। এর আগে একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে সফরকারীরা। পরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে ধাক্কা খায় ম্যাচের ১১তম বলে। দলীয় ১০ রানে প্রথম উইকেটের পতন। মারুমানিকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। স্বাগতিক ওপেনারকে সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত করেন ‘কাটার মাস্টার’। ধাক্কাটা ভালোভাবেই সামলে ওঠে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে গড়ে প্রতিরোধ।

ওপেনার মাধভেরে ও রেজিস চাকাবা গড়েন ৬৪ রানের জুটি। এ সময়ে মাধভেরে যতটা শান্ত ছিলেন ততটাই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করেছেন চাকাবা। মাধভেরে ২৩ বলে ২৩ রানে আউট হলে ভাঙে জুটি। ভাঙেন সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুইয়ান ওপেনারকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় উইকেট বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরই পথ হারায় জিম্বাবুয়ে।

এ সময়ে নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশি বোলাররা। শতকের আগে স্বাগতিকদের পতন হয় চার উইকেট। জোড়া ধাক্কায় ফিরেছেন চাকাবা ও সিকান্দার রাজা। ২২ বলে পাঁচটি চার ও দুই ছক্কায় ৪৩ রান তোলে রান আউট হন চাকাবা। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রাজা রানের খাতা না খুলেই বিদায় নিয়েছেন।

সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝেই ২২ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন ডিয়ন মেয়ার্স। তার এই ঝড়েই দলীয় দেড় শতক ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে। শেষ দিকে ১৬ বলে ১৮ রান করেন লুক জঙ্গী। বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিং তোপে ইনিংসের এক ওভার বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মুস্তাফিজ তুলে নেন তিন উইকেট। দুটি করে শিকার সাইফুদ্দিন ও শরিফুলের। বৃথা হাত ঘোরাননি সাকিব-সৌম্যও।

মাঝারি মানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৩ ওভারে বিনা উইকেটে এক শ ছাড়ায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এটাই টাইগারদের প্রথম শত রানের জুটি। ১০২ রানে বিচ্ছিন্ন হয় শুরুর জুটি। জুটি ভেঙেছে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে। ৪৫ বলে ৫০ রানে আউট হন সৌম্য। চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন বাঁ-হাতি ওপেনার। একই পরিণতি হয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও।

১২ বলে ১৫ রান করে রান আউট হয়য়েছেন মাহমুদ। পরে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে ম্যাচটা নির্বিঘ্নে শেষ করেন মোহাম্মদ নাঈম। ৫১ বলে ৬৬ রানে অজেয় থেকে উইকেট ছাড়েন নাঈম। ইনিংসে সাতটি চার মেরেছেন টাইগার ওপেনার। আর সোহান একটি করে চার-ছক্কায় আট বলে করেছেন ১৬ রান। জিম্বাবুয়ের কোনো বোলার উইকেট পাননি। এই প্রথম টাইগারদের বিপক্ষে কোনো ম্যাচে উইকেট পেলেন না জিম্বাবুইয়ান বোলাররা।