ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে মিলার তাণ্ডব

প্রথম ওভারেই জোড়া ধাক্কা। স্কোর বোর্ডে জমা হয়নি কোনো রান। ১০ ওভার শেষে ৫৮ রানে শেষ দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ উইকেট। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এমনই হাল হলো প্রোটিয়াদের। প্রায় ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে প্রায় একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন ডেভিড মিলার। সফরকারীরা পেল লড়াইয়ের পুঁজি।

বৃহস্পতিবার টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মিলার তাণ্ডবের পর সাত উইকেটে ১৫৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে ম্যাচের তিন বল বাকি থাকতে ১১৭ রানে গুটিয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। প্রোটিয়ারা জিতল ৪২ রানের ব্যবধানে। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী শনিবার একই ভেন্যুতে শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

বেলফাস্টে আইরিশ তোপে ধসে পড়ে প্রোটিয়ারের টপ অর্ডার। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল দুই অংকে যেতে পারলেন কুইন্টন ডি কক। কুড়ি বলে পাঁচ চারে ২৭ বলে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। সপ্তম ওভারে দলের ৩৮ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন ডি কক। এরপর শুরু মিলার ঝড়। তাতে এলোমেলো আয়ারল্যান্ডের বোলিং লাইন।

৪৪ বলে ৭৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন মিলার। চারটি চার ও পাঁচ ছক্কায় বিধ্বংসী ইনিংসটি সাজান তিনি। তার সঙ্গী মুলডার ২৬ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৩৬ রানে ফেরেন। প্রোটিয়াদের পতন হওয়া সাত উইকেটের দুটি করে নিয়েছেন পল স্টার্লিং ও মার্ক অ্যাডায়ার। বোলাররা শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য নাগালে রেখেছেন। কিন্ত ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বহীনতার মাসুল দিতে হয়েছে আয়ারল্যান্ডকে।

১৬০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে আইরিশরা। নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট খোয়ানো স্বাগতিকদের পাঁচ ব্যাটসম্যান অবশ্য আউট হয়েছেন দুই অংকে গিয়ে; উইকেটে থিতু হওয়ার পর। সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন শেন গেটকেট। এ ছাড়া পল স্টার্লিং ১৯, জর্জ ডকরেল ২০, লোরকান টুকার ১২ রানে আউট হন। অ্যাডায়ার ১৫ রানে অজেয় থাকেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন বিজর্ন ফরচুইন ও তাবরাইজ শামসি। দুটি শিকার বেউরান হেনড্রিক্সের। তবে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা মিলার অবধারিতভাবে হয়েছেন ম্যাচ সেরা।