লকডাউনে কারখানা খোলায় প্রশ্ন তুলেছেন শ্রমিকরা

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দেশব্যাপী চলছে সর্বাত্মক লকডাউন, যা শেষ হওয়ার কথা আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টায়। সার্বিক দিক বিবেচনায় আগামীকাল রোববার (১ আগস্ট) থেকে গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে লকডাউনের মধ্যে কীভাবে কর্মস্থলে ফিরবেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ভোগান্তিতে পড়া পোশাককর্মীরা।

লকডাউনে ফেরিতে ভিড়

বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরমুখী পোশাককর্মীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। আজ শনিবার সকাল থেকে চাকরি বাঁচাতে ভেঙে ভেঙে, ট্রাকে বা পণ্যবাহী গাড়িতে যেকোনো মূল্যে কর্মস্থলে ছোটেন তারা। করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরিসহ সড়ক পথে যাচ্ছেন এসব পোশাককর্মী।

ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়া পোশাককর্মীরা ভেবেছিলেন, লকডাউন শেষে কারখানা খুলবে এবং স্বাভাবিকভাবেই কাজে ফিরবেন তারা। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অনুরোধে গতকাল শুক্রবার সরকার জানায়, রোববার থেকে গার্মেন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা হতে হয় তাদের।

লকডাউনে ফেরিতে ভিড়

মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে বসে বেশ কয়েকজন পোশাককর্মী জানান, লকডাউন বহাল রেখেই কারখানা খুলে দেয়া হলো। তাও আবার একদিন আগে এমন সিদ্ধান্ত জানানো হলো, এখন কীভাবে আমরা কর্মস্থলে যাবো? গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ধরনের ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলে করে ফেরি পর্যন্ত এসেছি।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, হঠাৎ করে গার্মেন্টস ও কল-কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত আসায় হাজার হাজার যাত্রী ভিড় জমিয়েছেন ফেরিঘাটে। লকডাউনে লঞ্চ ও স্পিটবোট বন্ধ থাকায় গাদাগাদি করেই ফেরিতে তাদের পারাপার করা হচ্ছে।