স্বাস্থ্যমন্ত্রী: হাসপাতাল খালি নেই, হোটেল খুঁজছি

দিনে দিনে ভয়াবহ অবস্থার দিকে মোড় নিচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ছে জোরেশোরেই। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো- কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে নতুন রোগীর ভর্তির জন্য জায়গা খালি নেই। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলছেন, হাসপাতাল খালি নেই, তাই এখন হোটেল খুঁজছি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক

আজ মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে হাসপাতালের ৯০ শতাংশ পূর্ণ হয়ে গেছে। আইসিইউ বেড নাই বললেই চলে। ওদিকে সংক্রমণও ঊর্ধ্বমুখী। এভাবে চলতে থাকলে আর কয়েকদিনের মধ্যে হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি করা সম্ভব হবে না।

জাহিদ মালিক বলেন, আগাম সতর্কতা হিসেবেই আমরা হোটেল খুঁজছি। যারা আক্রান্ত হলেও খুব বেশি শারীরিক জটিলতা নেই, তাদেরকে হোটেলে রেখেই চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে করে হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে, ক্রিটিক্যাল রোগীরা ঠিকভাবে চিকিৎসা পাবেন।

আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভায় চলমান লকডাউন আরও ৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী, গত ২৩ জুলাই থেকে চলে আসা ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শেষ হবে আগামী ৫ আগস্ট। এবার ৫ দিন বাড়ানোর কারণে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ মুভমেন্ট করলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে এই শাস্তির বিধান করা হবে। ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। কারণ করোনা ঠেকাতে ভ্যাকসিনই শেষ সমাধান।

১০ তারিখ লকডাউন শেষ হলে ১১ তারিখ থেকে খুলবে সকল প্রকার সরকারি-বেসরকারি অফিস। চলবে গণপরিবহন। খুলে দেওয়া হবে শপিংমল, দোকানপাট। ওই সময় থেকে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে সরকার আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।