আপনি পড়ছেন

১১ মাস বয়সী বেদিকা সিন্ধেকে বাঁচাতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করা হয়নি। তবুও বিরল রোগে আক্রান্ত এ শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। ১৮ কোটি টাকা খরচ করে দেয়া ইনজেকশনেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। রোববার ১ আগস্ট চলে যায় না ফেরার দেশে।

vadika diesবেদিকা সিন্ধে

চিকিৎসকরা জানান, ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের বাসিন্দা বেদিকা স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রফি (এসএমএ) রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরের সব পেশী ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যায়। বেদিকার পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বয়স যখন চার মাস তখন তার বাবা-মায়ের নজরে আসে, বেদিকা সোজা হয়ে থাকতে পারছে না, তার মাথা কেমন যেন ভেঙে আসছে। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা জানান, বেদিকা বিরল স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রফি রোগের শিকার।

বেদিকার বাবা সৌরভ জানান, এ রোগটি যেমন বিরল, তার প্রতিষেধক তার চেয়ে বেশি বিরল। চিকিৎসা করাতে ‘জলজেন্সমা’ নামে একটি ইনজেকশনের দরকার। যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তুত সে টিকা দিতে খরচ হয় ১৬ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা)।

vadika with motherমায়ের সাথে বেদিকা

মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এ ইনজেকশনের ব্যবস্থা করা ছিল অসম্ভব ব্যাপার। পরে কী ভেবে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে সহায়তার আবেদন জানান। তার এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইনজেকশনের টাকা ওঠে আসে। সরকারও এক্ষেত্রে বিভিন্ন ট্যাক্স মওকুফ করে দেয়। অবশেষে ছয় মাস আগে বেদিকাকে ‘জলজেন্সমা’ নামের ওই ইনজেকশনটি দেয়া হয়।

সৌরভ জানান, ইনজেকশন দেয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠছিল বেদিকা। কিন্তু গত রোববার বেদিকা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার। এ অবস্থায় তাকে মহারাষ্ট্রের দিননাথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যায় সে।

চিকিৎসকরা জানান, ভারতে এ পর্যন্ত ১৭ শিশুকে এ ধরনের টিকা দেয়া হয়েছে। তাদের অনেকেই সুস্থ হয়েছে। কোনোভাবে আর চার-পাঁচ বছর কেটে গেলে বেদিকাও পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতো বলে দাবি করেন চিকিৎসকরা।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.