পাকিস্তানে কোনো মার্কিন ঘাঁটি বসবে না

আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি বসাতে চাইছে- এমন খবরকে প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুয়ীদ ইউসুফ বলেছেন, মার্কিন কোনো সামরিক কর্মকর্তা বা আইনপ্রণেতার সাথে এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। ইউসুফ তার ১০ দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে সিনিয়রদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন। শনিবার পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুয়ীদ ইউসুফ

ইউসুফ বলেন, আমাদের কোনো আলোচনাতেই এ কথা ওঠেনি। কারণ আমরা আগে থেকেই এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। আর সেটি হচ্ছে, এ অধ্যায় বন্ধ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত জুন মাসে পাকিস্তানে ঘাঁটি বানিয়ে আফগানিস্তানে যুদ্ধ পরিচালনার কথা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি আশঙ্কা করছিলেন, এটি করা হলে তার দেশ অন্যদের পাল্টা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান- উভয় দেশের মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, বাইডেন প্রশাসন আফগানিস্তানে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে বিশেষ করে যদি তালেবান কাবুল দখল করে ফেলে, তাহলে পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি বসাতে চাইবে যুক্তরাষ্ট্র।

আফগানিস্তান ছেড়ে যাচ্ছে সব মার্কিন সেনা

সাম্প্রতিক কংগ্রেসের এক শুনানিতেও মার্কিন কর্মকর্তারা আফগানিস্তানে পৌঁছানোর জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করা এবং সেখানে একটি ঘাঁটি স্থাপনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান তা বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কথা উল্লেখ করে মুয়ীদ ইউসুফ বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা থাকে, আমরা বলতে পারি না যে উভয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অবিচ্ছিন্ন থাকবে। ওয়াশিংটন চায় কাবুলে তালেবানদের দখল ঠেকাতে ইসলামাবাদ তার প্রভাব ব্যবহার করুক। একইভাবে মার্কিন নীতিনির্ধারকরাও চান যে এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তান মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটে যোগদান করুক। এক্ষেত্রে পাকিস্তান জবাব দিয়েছে, তারা উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং রাখতে চায়।