২০ আগস্ট পবিত্র আশুরা

আজ সোমবার বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। আগামীকাল মঙ্গলবার জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং পর দিন বুধবার (১১ আগস্ট) পবিত্র মহররম মাস এবং নতুন বছর ১৪৪৩ হিজরি শুরু হবে। একই সঙ্গে আগামী ২০ আগস্ট শুক্রবার ১০ মহররম বা পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

২০ আগস্ট পবিত্র আশুরা, ফাইল ছবি

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম এতে সভায় সভাপতিত্ব করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সভায় ধর্ম সচিব জানান, দেশের সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, হিজরি ১৪৪৩ সনের মহররম মাসের চাঁদ বাংলাদেশের আকাশে কোথাও দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী বুধবার থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হবে। এ ছাড়া আগামী ২০ আগস্ট তথা ১০ মহররম (শুক্রবার) দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

প্রসঙ্গত, হিজরি সনের প্রথম মাস হচ্ছে মহররম। ১০ মহররম বা আশুরার দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। হজরত মুহাম্মদের (স.) দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেনের (রা.) কারবালার প্রান্তরে শাহাদাতবরণের শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশুরা পালিত হয়। আশুরা উপলক্ষে আশুরার দিন এবং আগে বা পরে একদিন অর্থাৎ মোট দুই দিন রোজা রাখার বিষয়ে বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে।

এদিন সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ (অতিরিক্ত সচিব), প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনূর মিয়া এবং ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইলিয়াস মেহেদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহ. আছাদুর রহমান, মাদরাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মো. আলমগীর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লা এবং চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে শোলাকিয়া মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার সালেহি আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।