চিন্তা নেই রশিদ খান, নবিদের

পুরো আফগানিস্তান এখন তালেবানের দখলে। এরই মধ্যে দেশত্যাগ করেছেন আশরাফ ঘানি। পালাতে চেষ্টা করছেন তালেবান শাসনে শঙ্কিত হাজার হাজার মানুষ। থেকে যাওয়া মানুষজনের মধ্যেও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। তালেবানের বিধিনিষেদের সীমারেখা কতটুকু হবে? দেশটির ক্রিকেটও কে এর আওতায় থাকবে? এ প্রশ্নের উত্তরে স্বস্তির খবর মিলেছে। পিটিআই।

একটি জয়ের বিশেষ মুহূর্তে আফগান ক্রিকেট দল

ক্রিকেটারদের ভরসার বাণী শুনিয়েছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড। তাদের দাবি, তালেবানের আত্মপ্রকাশে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না আফগান ক্রিকেট। রশিদ খান, নবিদের আশ্বস্ত করে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও হামিদ শিনওয়ারি জানান, তালেবানরা ক্রিকেট ভালবাসে এবং এই খেলাকে সমর্থন করে। তারা কাবুল দখল করলেও ক্রিকেটের বিষয়ে নাক গলায়নি।

তালেবানদের উপস্থিতিতে ক্রিকেট পরিচালনা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। পাশাপাশি তিনি এ-ও আশ্বস্ত করেন যে, আফগানিস্তানের প্রত্যেক ক্রিকেটার ও তাদের পরিবার নিরাপদে রয়েছে।

কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে কার্যত সবকিছুই এখন তালেবানের দখলে

বর্তমানে ‘হান্ড্রেড’ টুর্নামেন্টে খেলার জন্য যুক্তরাজ্যে রয়েছেন আফগানি তারকা স্পিনার রশিদ খান। তার সঙ্গেই আছেন মহম্মদ নবি ও মুজিব জাদরান। ট্রেন্ট রকেটসের হয়ে খেলা রশিদ খানের পরিবার এখন আফগানিস্তানে রয়েছে। খেলার মধ্যে থাকলেও মাঝে মধ্যেই পরিবারের চিন্তা পেয়ে বসছে তাকে।

এ অবস্থায় তাদেরকে আশ্বস্ত করতে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও হামিদ শিনওয়ারি বলেছেন, আমার মনে হয় না এ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করবে তালেবান। তাদের থেকে সমর্থনই আশা করছি, যাতে দেশের ক্রিকেট এগিয়ে যেতে পারে। একজন সক্রিয় চেয়ারম্যানকেও পেয়েছি। পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত আমিই সিইও পদে বহাল থাকব।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদে আফগানিস্তানে তালেবান শাসন চলেছিল। সেই সময়ই দেশটিতে ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়। তাই বোর্ড সিইও’র দাবি, তালেবান আমলে ক্রিকেটের উন্নতিই ঘটেছে। তখন পেশোয়ারে অনুশীলন করতেন ক্রিকেটাররা।

ক্রিকেটকে বরং সে সময় উৎসাহই দেয়া হয়েছে। তিনি এ-ও জানান, শীঘ্রই পাকিস্তান সিরিজের জন্য প্র্যাকটিসেও নেমে পড়বেন ক্রিকেটাররা।