শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা গ্রহণের বয়সসীমা পরিবর্তন

গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে করোনার টিকা। এই পর্যায়ে এসে প্রথমে বলা হয়েছিল, ১৮ বছর হলেই যে কেউ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। পরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা হয় ২৫ বছর। এভাবে প্রায় দেড় মাস ধরে টিকাদান চলছে। এবার শুধু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে টিকা গ্রহণের বয়স ১৮ করা হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের পক্ষ থেকে যেমন চাপ রয়েছে, তেমনি সরকারও তৎপর। তাই শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে টিকা গ্রহণের বয়সসীমা শিথিল করার সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল (১৯ আগস্ট) সুরক্ষা অ্যাপে গিয়ে দেখা যায়, ১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অপশন তৈরি করা হয়েছে।

এদিকে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকা দেওয়া শুরু হলেও মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তা সরবরাহ করতে পারছে না সরকার। যে পরিমাণ টিকা কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে, সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তাই নিয়মানুযায়ী নিবন্ধন করেও ফিরতি এসএমএস না পাওয়ায় টিকা নিতে পারছেন না অন্তত ২ কোটি মানুষ।

নিবন্ধন সম্পন্ন করার পর ওই ব্যক্তির মোবাইলে একটি এসএমএস পাঠিয়ে কেন্দ্রের নাম, টিকা গ্রহণের তারিখসহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হয়। সেটা দেখিয়ে টিকা নেন আবেদনকারী। এই ক্ষুদেবার্তা না আসা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হচ্ছে না। আবার অপেক্ষা করেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকের ক্ষেত্রে মাস অতিক্রম করলেও এসএমএস আসছে না।

গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিবন্ধন করেও এসএমএসের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন ৭৫ লাখ মানুষ। অপেক্ষমান এই মানুষের সংখ্যা গত ১৭ আগস্টে এসে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখে। আজ ২০ আগস্ট পর্যন্ত সংখ্যাটি দুই কোটি ছুঁইছুঁই। এই সময়ের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচিও অব্যাহত আছে। অর্থাৎ, টিকা গ্রহণ করা মানুষের চেয়ে নিবন্ধন করা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে কয়েকগুণ গতিতে।