তালেবান: সুযোগ পেলে দিল্লি বিমানবন্দরেও এমন দৃশ্য দেখা যাবে

আগস্টের শেষ সপ্তাহে এসে দেশ ছাড়ার জন্য হাজার হাজার আফগান নাগরিক ভিড় জমিয়েছিল কাবুল বিমানবন্দরে। তালেবানের একজন সিনিয়র মুখপাত্র বলেছেন, কোনো চাপের কারণে নয়, বরং আমেরিকার মতো দেশে চলে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ার কারণেই তারা সেখানে ভিড় করেছিল। তবে এ চিত্র শুধু আফগানিস্তানেই নয়, বরং সুযোগ পেলে অন্য দেশেও এ দৃশ্যের দেখা মিলবে বলে মনে করেন তালেবানের এক মুখপাত্র।

তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহিন, ফাইল ছবি

ভারতের টিভি নাইন-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সুহাইল শাহিন নামে কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের ওই মুখপাত্র বলেন, যদি মার্কিন প্রশাসন তাদের আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার এবং সেখানে বসতি স্থাপনের প্রস্তাব দেয়, তবে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে ভিড় করবেন।

ওই সাক্ষাৎকারে তাকে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তান ছাড়তে দেশটির নাগরিকদের মরিয়া হয়ে ওঠার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি পুরো বিষয়টিকে গণমাধ্যমের প্রোপাগাণ্ডা বলে উড়িয়ে দেন।

আগস্টের শেষ সপ্তাহে আফগানিস্তান ছাড়ার হিড়িক পড়ে

ওই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক তাকে প্রশ্ন করেন, তালেবান জনসাধারণকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিচ্ছে, সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে, তবুও এভাবে আফগানিরা দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছে কেন? উত্তরে শাহিন বলেন, যদি মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা করে ভারতীয়দের আমেরিকা নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে তাদের বসবাসের সুযোগ দেয়া হবে, তাহলে লাখ লাখ ভারতীয় নাগরিকও নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে ভিড় করবেন।

এমনকি যদি আমেরিকা এখন এমন ঘোষণা দেয়, যে কেউ আমেরিকায় স্থানান্তরিত হতে চাইলে সে যেন তিন ঘণ্টার মধ্যে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছায়। তাহলে ওই সময়ের মধ্যেও আপনি লক্ষ লক্ষ ভারতীয়কে সেখানে উপস্থিত দেখবেন। এর অর্থ কি এটা যে, এই সমস্ত মানুষ ভারতের সরকারকে ভয় পায়?

এরপর উপস্থাপক প্রসঙ্গ পাল্টে কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের কথা তোলেন। সুহাইল শাহিন এ প্রসঙ্গে বলেন, এই ভিড় এবং হামলায় হতাহতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী। তাদের অব্যবস্থাপনার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে। আর সেখানে বহু মানুষ ভিড় করেছিল, বিষয়টি এমন নয়। বরং যারা সেখানে জমা হয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার কারণেই জমা হয়েছে।

তাছাড়া বিমানবন্দরে জড়ো হওয়া বেশিরভাগ মানুষই কখনো যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের সঙ্গে কাজ করেনি। তারপরও তারা সেখানে ভিড় করেছিল, কারণ তারা এটাকে আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে পশ্চিমা দেশগুলোতে বসতি স্থাপনের সুযোগ হিসেবে দেখেছিল। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন