অ্যালার্জি প্রতিরোধ করবে যেসব খাবার

অ্যালার্জি একটি প্রচলিত সমস্যা। বিভিন্ন কারণে অ্যালার্জি হয়। অ্যালার্জির সমস্যা অনেক বিরক্তিকর। অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চুলকানি, শ্বাসকষ্টের মত সমস্যাগুলো দেখা দেয়। যাদের অনেক মারাত্মক পর্যায়ে অ্যালার্জি থাকে তাদের অ্যালার্জিক জিনিস থেকে দূরে থাকার এবং প্রয়োজনে ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ঔষধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লে তা শরীরের জন্য মোটেও ভাল কিছু নয়। প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে অ্যালার্জি প্রতিরোধ সম্ভব। অ্যালার্জি প্রতিরোধে আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবারের কথা।

খাবারের স্বাদ বাড়াতে নয়, অ্যালার্জি রোধেও রসুন ও হলুদ ভাল কাজে দেয়। রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এক টুকরো রসুন কিছু নির্দিষ্ট ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা দেয়। হলুদে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান কারকিউমিন থাকে যা অ্যালার্জি সারাতে সাহায্য করে। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের গবেষকরা বলেন, হলুদে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান।

ভিটামিন সি ইমিউনিটিকে উদ্দীপিত এবং অ্যালার্জি প্রতিরোধ, এটা দুই ভাবে সাহায্য করে। নিয়মিত কমলা বা লেবুর রস গ্রহণ করা যেতে পারে। অ্যাভোকাডো, বাদামের মত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার এবং সবুজ শাকসবজি খেলে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করা যায়।

পেঁয়াজের কোয়ারসেটিন নামক উপাদান অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি প্রদাহ কমাতে এবং ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। অ্যালার্জি প্রতিরোধ করতে সপ্তাহে দুদিন ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ খেতে হবে।

গ্রিনটিতে ক্যটেচিন নামক ফ্লাভনয়েড থাকায় এটি ইমিউনিটিকে উদ্দীপ্ত হতে সাহায্য করে। গ্রিনটি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দেখেছেন, গ্রিনটি টি সেলের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং শরীরের ইনফ্লামেটরি প্রতিক্রিয়াকে দমন করে। আরেক গবেষণায় জানা যায়, গ্রিনটি অ্যালার্জি ও ইনফ্লামেশন সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা পালনকারী IgE অ্যান্টিবডির মাত্রা কমায়। দই এর ভালো ব্যাকটেরিয়া অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে।

অ্যালার্জি নিরাময় আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মাঝে রয়েছে নানামত। তবে এটিকে প্রতিরোধ ও সহনীয় করে তোলা সম্ভব। এজন্য বাড়িতে কোন সদস্যর অ্যালার্জি থাকলে যতটা সম্ভব বাড়িঘর ধুলোবালিমুক্ত রাখা প্রয়োজন। কার্পেট বিছানো থাকলে সপ্তাহে দুই দিন পরিষ্কার করতে হবে। এটি জানালা-দরজার পর্দার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পালক দিয়ে বানানো বালিশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। বাড়িতে ভেজা ভাব ও আর্দ্রতা এড়িয়ে চলতে হবে। ধূমপান অবশ্যই বর্জন করতে হবে। পোষা প্রাণী থাকলে বাড়ির বাইরে রাখুন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

দূরে থাকুক সর্দি- জ্বর

পাইলস: লজ্জা নয়, প্রয়োজন সঠিক চিকিৎসা

প্রাণসংহারী রোগ ডিপথেরিয়া

ত্বকের ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিরোধ

ঘাড়ব্যথা দূর করতে যা করবেন