ইসরায়েলকে এক বছর সময় দিলেন আব্বাস

ইসরায়েলি সেনাদের ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ছেড়ে চিরতরে চলে যেতে এক বছর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মাহমুদ আব্বাস। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভার্চুয়ালি দেয়া এক ভাষণে এই আল্টিমেটাম দেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট।

জাতিসংঘে মাহমুদ আব্বাসের ভাষণ

বেঁধে দেয়া এই সময়সীমার মধ্যে ইসরায়েলি সেনারা অধিকৃত ফিলিস্তিন না ছাড়লে ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা বিবেচনা করা হবে। ওই সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে দেশটিকে আর মেনে নেয়া হবে না বলে সতর্ক করেন মাহমুদ আব্বাস।

এএফপি জানায়, এদিন ভাষণে উভয় দেশের মধ্যে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন’ আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট। এ জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সেইসঙ্গে ইসরায়েলকে এক ধরনের আল্টিমেটামও দেয়া হয় একই ভাষণে।

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অবৈধ বসতি, ফাইল ছবি

ইসরায়েলকে ‘দখলদার শক্তি’ আখ্যায়িত করে মাহমুদ আব্বাস বলেন, পূর্ব জেরুজালেমসহ ১৯৬৭ সালে দখল করা ফিলিস্তিনি ভূমি ছাড়তে হবে তেল আবিবকে। এ জন্য তাদের এক বছর সময় দেয়া হয়েছে বলে জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন তিনি।

এই সময়ে জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী, দুই রাষ্ট্রের চূড়ান্ত মর্যাদা দেয়া নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে কাজ করতে প্রস্তুত ফিলিস্তিনিরা। এতেও সমাধান না আসলে ১৯৬৭ সালের সীমান্ত মেনে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি বজায় রাখতে হবে কেন, প্রশ্ন রাখেন মাহমুদ আব্বাস।

এ ছাড়া ফিলিস্তিনের ভূমি দখলের বৈধতার প্রশ্নে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাবে ফিলিস্তিনিরা। এই ঘোষণাও গতকালের জাতিসংঘ ভাষণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে আনেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্বাস।

ফিলিস্তিনের এই আল্টিমেটাম ও দাবি তাৎক্ষণিকভাবে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। মূলত তেল আবিবের একঘেয়েমির কারণে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের শান্তি প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে আছে অনেক বছর ধরে।