ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি কর্তাদের বৈঠক, ‘ভয়ঙ্কর’ বলল হামাস

ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কর্মকর্তা ইসরায়েলের কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সাম্প্রতিক ওই বৈঠকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন, হামাস। এটিকে ‘ভয়ঙ্কর ঘটনা’ আখ্যায়িত করে নিন্দা জানিয়েছে তেল আবিবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় অনাগ্রহী গাজাভিত্তিক সংগঠনটি।

হামাসের লোগো

ঘটনাটিকে ফিলিস্তিনিদের আশা-আকাঙ্খার সঙ্গে ‘চরম বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে বর্ণনা করেছেন হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম। তিনি বলেন, রামাল্লাভিত্তিক ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির বিভিন্ন সংগঠনগুলোর সমন্বয়ের চরম বিরোধী। ফিলিস্তিনি জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করছে তারা। উচ্চ পর্যায়ের সাম্প্রতিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে সেটি স্পষ্ট হয়ে গেছে।

পার্সটুডে জানায়, বৈঠকের ঘটনাকে ‘জাতীয় ও নৈতিক অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করার কথা জানিয়েছে হামাস। এটি অঞ্চলিক অন্যান্য দেশকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত এবং মজবুত করতে তৎপর করে তুলবে, উল্লেখ করেন হাজেম কাসেম।

জাতিসংঘে মাহমুদ আব্বাসের ভাষণ

এদিকে, গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এ সময় ইসরায়েলি সেনাদের অধিকৃত ফিলিস্তিন ছেড়ে যেতে এক বছর সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি।

এএফপি জানায়, এদিন ভাষণে উভয় দেশের মধ্যে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন’ আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট। এ জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সেইসঙ্গে ইসরায়েলকে এক ধরনের আল্টিমেটামও দেয়া হয় একই ভাষণে।

এ ছাড়া ফিলিস্তিনের ভূমি দখলের বৈধতার প্রশ্নে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাবে ফিলিস্তিনিরা। এই ঘোষণাও গতকালের জাতিসংঘ ভাষণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে আনেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্বাস।