টিটিপিকে নিরস্ত্র করার চেষ্টায় পাকিস্তান

সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) নিরস্ত্র করতে চায় ইসলামবাদ। এ বিষয়ে চেষ্টা শুরু করেছে পাকিস্তান। গোষ্ঠীটির কয়েকটি গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার বক্তব্য, আফগানিস্তানের দ্রুত বিকশিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান সরকারও দেশে স্থিতিশীলতা চায়।

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের সাংবাদিকের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

ইমরান খান ইসলামাবাদে টিআরটি ওয়ার্ল্ডের, তুর্কি গণমাধ্যম, আলী মুস্তাফার সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি— পাকিস্তানি তালেবান গোষ্ঠীর কিছু লোক আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। ইতোমধ্যে কিছু গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।

পাকিস্তানি জিও টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইমরান খান বলেন— নিরস্ত্রীকরণের জন্য এই আলোচনা যদি সফল হয়, তাহলে সরকার তাদের ক্ষমা করতে রাজি আছে। তারপর তাদের নাগরিকত্বও দেওয়া হবে। টিটিপির সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হওয়ার আশাবাদও ব্যক্ত করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সদস্য

ইমরান খান বলেন, আমি সামরিক সমাধানে বিশ্বাস করি না। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি মনে করি, রাজনৈতিক সংলাপ হল সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ। যেটা আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে আমি সব সময় বিশ্বাস করতাম। আন্তর্জাতিক ফোরামেও আমি বার বার বিষয়টি বলেছি।

সেপ্টেম্বর মাসে জিও নিউজকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী আফগান সরকার যুদ্ধের অবসান ঘোষণা করেছে। এখন টিটিপির উচিত তার নীতি পর্যালোচনা করা। টিটিপির সমস্যা হল তারা নিরীহ ও নিরস্ত্র নাগরিকদের টার্গেট করছে। টিটিপির উচিত তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করা। অতীত ক্রিয়াকলাপ মাথায় রেখে তাদের ইতিবাচক সাড়া দেওয়া উচিত। কিন্তু তারা যদি তা না করে তাহলে পাকিস্তান আগের আচরণই দেখাবে।

পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, পাকিস্তান বার বার আফগানিস্তানের ঘানি সরকারকে টিটিপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে আসছিল, কিন্তু ঘানি তাতে কান দেননি। তবে বর্তমান সরকার আশ্বাস দিয়েছে আফগানের মাটি পাকিস্তানসহ কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভিও টিটিপি সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে। তিনি বলেন, যারা অস্ত্র সমর্পণ করবে তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে। গত ১১ সেপ্টেম্বর ডন নিউজকে দেশটির রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যদি তারা অপতৎপরতা না চালায় তাহলে তাদের ক্ষমা করার বিষয়টি ভাবা যায়।