আইজিপি: সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হয়েছিলো

আজ সকালে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় পুলিশের অভিযানে তিনজন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় অভিযুক্ত তামিম চৌধুরীও আছেন। আইজিপি বলছেন, সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হয়েছিলো।

আইজিপি শহীদুল হক বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণ করার সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা গুলি ও গ্রেনেড ছুড়ে মারলে আমরাও আক্রমণ করতে বাধ্য হই।’

এ সময় আইজিপি বলেন, ‘গুলশানসহ সব হামলা করেছে জেএমবি। জেএমবির সামরিক শাখার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন তামিম চৌধুরী। নারায়ণগঞ্জে যারা মারা গেছে, তাদের একজনের সঙ্গে তামিম চৌধুরীর ছবির হুবহু মিল রয়েছে। এতে এটা স্পষ্ট যে, সেই তামিম চৌধুরী।’

নারায়গঞ্জের এই অভিযানে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এবং সদর দফতর থেকে পুলিশের এলআইসি অংশগ্রহণ করে। এই ঘটনায় কোনো পুলিশের হতাহত হওয়ার খবর এখনো আসেনি।

উল্লেখ্য, গুলশান হামলায় সন্ত্রাসীরা ২০ জন জিম্মিকে মেরে ফেলে। পহেলা জুলাইয়ে সংগঠিত ওই ঘটনাকে মনে করা হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বর ও ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী ঘটনা। গুলশান হামলার মামলায় এখন পর্যন্ত হাসনাত করিম ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

গুলশান হামলার হোতা তামিম নারায়ণগঞ্জে নিহত

গুলশান হামলার অন্যতম হোতা তামিম চৌধুরী নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছেন। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মুনিরুল ইসলাম এবং নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, শনিবার সকালে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এবং সদর দফতরের এলআইসি শাখা সমন্বিতভাবে অভিযানটি পরিচালনা করে। পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযানের ব্যাপারটি আগেই টের পেয়ে যায়। পরে তারা বেশ কিছু ডকুমেন্ট পুড়ে ফেলে। পুলিশের এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছিলো ‘অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭’। এতে তামিমসহ আরো দুজন মারা গেছেন।

এ দিকে তামিম চৌধুরীকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দ্বিধার মধ্যে ছিলো পুলিশ। কানাডা পাসপোর্টধারী তামিম বাংলাদেশে আছেন নাকি ভারতে চলে গেছেন, এ নিয়েও একটা বিভ্রান্তি ছিলো পুলিশের মধ্যে। নারায়ণগঞ্জে তার মৃত্যুর মাধ্যমে সব কিছুর অবসান ঘটলো।

গুলশান হামলায় দূর থেকে জড়িত থাকার জন্য যাদেরকে সন্দেহ করা হচ্ছিলো তামিম তাদের অন্যতম। ধারণা করা হয়, গুলশান হামলার মূল ছক এঁকেছিলেন তিনিই। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুলিশ এর আগে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে।

এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বলেছিলেন যে, তামিম চৌধুরীকে জীবিত ধরা গেলে জেএমবির নতুন ধরনের কৌশল সম্পর্কে সব কিছু জানা যাবে। তিনি গুলশান হামলার পাশাপাশি শোলাকিয়ায় জঙ্গিদের তৎপরতার সঙ্গেও তামিম চৌধুরীর সম্পৃক্ততার কথা বলেছিলেন।

পুলিশের কাছে তথ্যে জানা গেছে, তামিম সর্বশেষ ২০১৩ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তারপর থেকে তার কোনো খোঁজ পুলিশের কাছে ছিলো না। তিনি কানাডা ফিরে গেছেন কিনা এ ব্যাপারেও কোনো নিশ্চিত তথ্য ছিলো না। তামিমের বাবা জাহাজে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে। তামিমদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধের পরপর কানাডায় পারি জমায়।

আপনি আরো পড়তে পারেন

গুলশান হামলার হোতা তামিম নারায়ণগঞ্জে নিহত

বাংলাদেশ থেকে দক্ষ নির্মাণ শ্রমিক নেয়ার আগ্রহ আমিরাতের

ফারাক্কার পানিতে কুষ্টিয়ার ৩০ গ্রাম প্লাবিত, পানি আরও বাড়ছে

জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের দুদিনের ধর্মঘটের ডাক

হানিফ: বিএনপি পাকিস্তানি আদর্শের রাজনীতি করে