এক তাণ্ডবে সবার ওপরে আসিফ

লক্ষ্য ১৪৮ রানের। মাঝারি মানের রান তাড়ায় ম্যাচটা কঠিন করে ফেলেছিলেন পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। অঘটনের ইঙ্গিত দেয় আফগানিস্তান। শেষ দুই ওভারে ২৪ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় পাকিস্তানের সামনে। প্রায় অবিশ্বাস্যভাবে এক ওভার হাতে রেখেই জিতে যায় পাকিস্তান!

বাবর আজমদের দুর্দান্ত এই জয়ের নায়ক আসিফ আলি। শুক্রবার রাতে দুবাই স্টেডিয়ামে সাত বলে ২৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে দারুণ জয় এনে দেন তিনি। সুপার টুয়েলভে টানা তৃতীয় জয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল পাকিস্তান।

করিম জানাতকে চার ছক্কা মেরে দলকে জেতানোর পাশাপাশি দারুণ একটা অর্জনের মালিক হয়েছেন আসিফ। কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে অন্তত ২৫ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের তালিকায় ঢুকে পড়লেন তিনি। আফগানদের বিরুদ্ধে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ৩৫৭.১। আসিফ টপকে যান জিহান মোবারককে।{}Y

২০০৭ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ১৩ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন লঙ্কান এই ব্যাটার। তার স্ট্রাইক রেট ৩৫৩.৮। মোবারকের পেছনে আছেন ২০১৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের বোন স্টোকসকে চারটি ছক্কা মারা কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। সেদিন ১০ বলে ৩৪ রানে অজেয় থাকেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।

বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট অবশ্য ডোয়াইন স্মিথের। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সাত বলে ২৯ রান করেছিলেন তিনি। স্মিথের স্ট্রাইক রেট ৪১৪.৩। তারপরই আছেন বিশ্বকাপের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরিয়ান যুবরাজ সিং। ওই আসরেই ১২ বলে ফিফটি করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার।

অতিমানবীয় ইনিংসটা খেলার পথে ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ছিলেন যুবরাজ। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ৫৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। যুবির স্ট্রাইক রেট ৩৬২.৫। তবে এক হিসেবে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন আসিফ। অন্তত ২৫ রান করে অপরাজিত থাকা ব্যাটারদের মধ্যে পাকিস্তানি তারকার স্ট্রাইক রেটই সবচেয়ে বেশি।

আসিফ ঝড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টানা ১৪ ম্যাচ জিতল পাকিস্তান। তাতেই থামল আফগানিস্তানের স্বপ্নযাত্রা। মরুর দেশে টানা ১৮টি টি-টোয়েন্টি খেলার পর পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেলেন রশিদ-নবিরা। তবে পাকিস্তানের কাছে হারলেও এখনো সেমিফাইনালের আশা বেঁচে আছে আফগানদের।