তবুও খুশি বিসিবি

আজ ঘোষণা করা হলো আইসিসির ভবিষ্যত টুর্নামেন্টগুলোর, ছেলেদের, স্বাগতিক স্বত্ব। ২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত এই আট বছরের চক্রে সবশেষ প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করবে বাংলাদেশ। তাও আবার এককভাবে নয়, ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে। যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য হতাশার।

বাংলাদেশের চাওয়া ছিল এককভাবে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করার। সেটা হয়নি। বরং ২০৩১ সালে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে বাংলাদেশ। এর আগে কোনো টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হতে পারছে না বাংলাদেশ। অথচ তাতে হতাশ নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

আজ বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজন দাবি করলেন, তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আইসিসির বাস্তবতাও তুলে ধরলেন তিনি। সুজন বলেছেন, 'আমার মনে হয়, প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আইসিসির সবচেয়ে বড় প্রপার্টি বিশ্বকাপ। আইসিসি ৮ বছরে ইভেন্টগুলো সবাইকে ভাগ করে দিতে চেয়েছে।'

বিসিবি প্রধান নির্বাহী যোগ করেন, 'আমেরিকায় টুর্নামেন্ট নেওয়া যেমন আইসিসির পরিকল্পনার অংশ ছিল, সেটি তারা করেছে। আমরা বড় একটি আসরই পেয়েছি। আমাদের এককভাবে কিছু পাওয়ার আশা ছিল অবশ্যই। তবে আইসিসির কৌশলও দেখতে হবে, তারা সবাইকে দিতে চেয়েছে। এখানে জোর করলে তো হবে না।'

বাংলাদেশের মূল চাওয়া ছিল এককভাবে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা এবং বিশ্বকাপ আয়োজনে শরিক থাকা। প্রথমটি হয়নি। অথচ সামনের আট বছরের চক্রে ভারত (২০২৯ সাল) ও পাকিস্তান (২০২৫ সাল) এককভাবে একটি করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করবে।

প্রধান নির্বাহীর মতে, এককভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের চেয়ে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়েজন করার গৌরব বেশি। সবশেষ ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। যদিও ওই সময় টুর্নামেন্টের নাম ছিল আইসিসি নক আউট বিশ্বকাপ। এরপর ২০১১ সালে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ।

যদিও নিরাপত্তা ইস্যুতে ওই বিশ্বকাপের স্বাগতিক হিসেবে পাকিস্তানের নাম বাদ পড়ে। ২০১৪ সালে এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। এবারের ঘোষিত ভবিষ্যত চক্রের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ভারত। ২০০৯ সালে এককভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করবে তারা।

২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে আয়োজন করবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরপর ২০৩১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ। ক্রিকেটে ভারতের বাজার সবচেয়ে বড়। এ কারণেই সর্বোচ্চ তিনটি টুর্নামেন্ট ভাগে পেয়েছে ভারতীয়রা। সবচেয়ে ইতিবাচক হচ্ছে, টুর্নামেন্টের এই ভাগাভাগিতে 'বিগ থ্রি'র কোনো প্রভাব নেই।