খালেদাকে দেখে মান্না: সরকার যা করছে তা অমানবিক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ‘প্রচণ্ড অসুস্থ’ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ বুধবার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

খালেদা জিয়া ও মাহমুদুর রহমান মান্না, ফাইল ছবি

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মান্না বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সিসিইউতে থাকা এমন রোগীকে দেখতে যাওয়া দুরূহ। তার যেরকম চিকিৎসা দরকার, সেরকম সুযোগ এখানে নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তার পরেও চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। তার পরেও সরকার যা করছে, তা পুরোপুরি অমানবিক এবং জঘন্য কাজ। রাজনীতি, ক্ষমতা, বিদ্বেষসহ সব খারাপ কাজ মিলে মনুষ্যত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে সরকার, বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

হাসপাতালে খালেদা জিয়া, ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হলে বিদেশ থেকে ডাক্তার আনা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাকে বিমানে করে বিদেশেও পাঠিয়েছিল সরকার। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও বিদেশে চিকিৎসা করালেন। তারা যেতে পারলে বেগম জিয়ার জন্য এত বাধা কেন?

এই ইস্যুতে সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দকে চাপ তৈরির আহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, এমনভাবে চাপ দিন, যাতে খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয় সরকার।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় খালেদা জিয়াকে। সেদিন সন্ধ্যার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর এন্ডোসকপি করা হয়।

গত ১২ অক্টোবর টানা জ্বরের কারণে খালেদা জিয়াকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর ২৫ অক্টোবর তার ছোট একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। বায়োপসি পরীক্ষা করে তা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয় স্বচ্ছ ধারণা পাওয়ার জন্য। এরপর টানা প্রায় এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৭ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবনে নেওয়া হয় তাকে।

গত এপ্রিল মাসে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রথমে বাসায় চিকিৎসা নিলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় গত ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দীর্ঘ ৫২ দিন চিকিৎসা শেষে গত ১৯ জুন বাসায় ফেরেন তিনি।