জিম্বাবুয়ের পরিণতি বরণ করতে পারে আফগান ক্রিকেট

ক্রিকেট বোর্ডে সরকার ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জের ধরে নিষিদ্ধ হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। পরবর্তীতে তাদের নিষেধাজ্ঞাও তুলে দেওয়া হয়েছিল। আফগানিস্তান ক্রিকেটেও (এসিবি) কি তেমন কিছু হবে? আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দেশটির ক্রিকেট নিয়ে পর্যালোচনা করছে আইসিসি।

আফগানিস্তান ক্রিকেট দল, ফাইল ছবি

গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি আফগানিস্তানের দখল নেয় তালেবানরা। নতুন সরকারের অধীনে অনেকটাই বদলে গেছে দেশটি। প্রভাব পড়েছে খেলাধুলার ওপরও। শরীর প্রদর্শিত হয় এমন সব খেলা থেকে আফগান নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার। যদিও রশিদ-নবিদের খেলা নিয়ে আপত্তি নেই তাদের।

কিন্তু আফগান ক্রিকেট কি তালেবানদের অধীনে? নাকি স্বতন্ত্রভাবেই চলছে- এ নিয়ে একটা কানাঘুষা চলছে। ব্যাপারটা আইসিসির নজরেও গেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এ নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল আইসিসি। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার আফগান ক্রিকেট পর্যালোচনায় চার সদস্যের কমিটি দিয়েছে তারা।

এই কমিটির প্রধান ইমরান খাজা। কমিটিতে আরো আছেন রস ম্যাককলাম, লসন নাইডু ও রমিজ রাজা। এই কমিটি আগামী মাসে আফগানিস্তান ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর প্রতিবেদন দাখিল করবে আইসিসির কাছে। ওই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে রশিদ-নবিদের ভবিষ্যত ভাগ্য।

ঝামেলার মূল উৎস নারী ক্রিকেট। ক্রিকেটে আফগান নারীদের নিষিদ্ধ করায় ক্ষেপেছেন অস্ট্রেলিয়ানরা। এ কারণে আফগানিস্তানের সঙ্গে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অজিরা। এরই মধ্যে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষস্থানীয় কিছু পদে এসেছে পরিবর্তন। গেল সপ্তাহে ৩৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার মিরওয়াইস আশরাফকে বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে বসিয়েছে তালেবানরা।