নির্বাচকদের লুকোচুরি, ক্ষোভ ঝাড়লেন মুশফিক

কদিন আগে শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূরণ করেছে বাংলাদেশ দল। সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে টাইগারদের ব্যাটিং নিয়ে। যে কজনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে তাদের একজন মুশফিকুর রহিম। আসরটা বাজে কেটেছে তার।

মুশফিকুর রহিম, ফাইল ছবি

বিশ্বকাপের আট ম্যাচে ১৪৪ রান করেছেন মুশি। আছে একটি হাফসেঞ্চুরি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে অভিজ্ঞ সাত ক্রিকেটারের একজনের কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স হতাশার। মুশির রান সংখ্যার চেয়েও তার ব্যাটিং ও আউটের ধরণ নিয়েই বেশি সমালোচনা হয়েছে।

বিশ্বকাপ পরবর্তী পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলে এসেছে আমূল পরিবর্তন। দল থেকে ছিটকে পড়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিক। যদিও মুশির ব্যাপারটিকে 'বাদ' বলতে নারাজ প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তাদের মতে 'বিশ্রাম' দেওয়া হয়েছে মুশিকে।

কিন্তু মুশফিক ধরে নিয়েছেন তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বুধবার শীর্ষস্থানীয় একটি প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাদ পড়াটাকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন তিনি। তবে এই প্রক্রিয়াটা মুশির কাছে স্বাভাবিক মনে হয়নি। মুশি দাবি করলেন, পাকিস্তান সিরিজে তিনি খেলতে পারবেন কি না- এনিয়ে তার কাছে জানতে চেয়েছেন নির্বাচকরা।

উত্তরে মুশি জানান খেলতে চান তিনি। তবু বাদ দেওয়া হলো তাকে। এতে করে ব্যথিত হয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। নির্বাচকরা মুশফিককে জানান যে, সামনে টেস্ট সিরিজের জন্যই টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। যদিও এটা চাননি মুশফিক। খেলতে চেয়েছিলেন পাকিস্তান সিরিজে।

বাংলাদেশ দলের পঞ্চপাণ্ডবের একজন মুশফিক। এমন একজনকে বাদ দেওয়ার কাজটা সহজ নয়। সিনিয়রকে বাদ দিতে অনেক সময় কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়। খুব সম্ভবত সেটাই করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এখানে আপত্তি মুশির। তার মতে, সরাসরি তাকে কেন জানানো হয়নি সিদ্ধান্ত। এত লুকোচুরির কিছু দেখছেন না তিনি।

বুধবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে মুশফিক বলেছেন, 'আমি এখনো ওই পর্যায়ে যাইনি যে, বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কাউকে বলতে হবে। যদি কখনও মনে করি… কোভিড পরিস্থিতিতে টানা ৫-৬ মাস খেলা খুব কঠিন, শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে, বিশেষ করে বায়ো-বাবলে থেকে। এখনও ওই পর্যায়ে যাইনি আমি।'

মুশি আরো বলেছেন, 'আমাকে জিজ্ঞেস করা হলো যে, পাকিস্তান সিরিজে অ্যাভেইলঅ্যাবল কিনা। এরপর বাদ দেওয়া হলো। একটু খোলামেলা কথা বললে ভালো হয়। এটা আমার জন্য, দলের জন্য এবং সবার জন্য ভালো। আমি কি খাঁচার বাঘ, আমাকে ছেড়ে দিয়েছে, এখন আমি তাদেরকে বা অন্যদেরকে খেয়ে ফেলব? জানি না আমি বাঘ নাকি সিংহ!'

কেবল পারফরম্যান্স বিবেচনায় বাদ দেওয়া হলে এটাকে ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছেন মুশফিক। অন্য কারণ হলে আপত্তি আছে তার। মুশি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্বকাপের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে। আপাতত তা হচ্ছে না। তাই বাদ পড়াটাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে লড়াই করেই টি-টোয়েন্টি দলে ফিরতে চান তিনি।