তুরস্কের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় তালেবান

তালেবান সকল দেশের সাথে বিশেষ করে তুরস্কের সাথে অনুকূল সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। কারণ তুরস্ক ও আফগানিস্তান অভিন্ন ধর্মের অনুসারী। তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন সোমবার বলেছেন, আমরা শুধু দৃঢ় সম্পর্কই চাই না, আমরা ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চাই। ডেইলি সাবাহ এ খবর দিয়েছে।

তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন, ফাইল ছবি

শাহীন বলেন, তুর্কি জনগণ মুসলিম এবং তারা আমাদের ভাই-বোন। আমরা তুরস্কের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতে চাই, তুরস্ককে সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে চাই। তুর্কি ব্যবসায়ীদের আফগানিস্তানে এসে বিনিয়োগ প্রকল্প চালু করার আহ্বান জানান তিনি। তালেবান মুখপাত্র তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আফগানিস্তানে আসলে সবার জন্য পারস্পরিক সুবিধা দেবে তালেবান সরকার।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকার আসার পর তুর্কি সরকার একটি বাস্তববাদী পন্থা বেছে নিয়েছে। দেশটিতে নতুন বাস্তবতা আবির্ভূত হয়েছে। আঙ্কারা দেশটির প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে শুরু থেকেই। তুরস্ক কাবুলে তালেবানের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও আলোচনা করছে। কাবুলে দেশটির কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রয়েছে। কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনা করতে সহায়তাও করছে আঙ্কারা।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান, ফাইল ছবি

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান তালেবান কর্মকর্তাদের মধ্যপন্থী বিবৃতিকে স্বাগত জানান। তিনি ঘোষণা করেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তুরস্ক আফগানিস্তানের সব পক্ষকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। অন্তবর্তী সরকারের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক আফগানিস্তানের উন্নয়ন ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করবে।

খবরে বলা হচ্ছে, গত সপ্তাহে তালেবান প্রশাসন স্থানীয় মুদ্রার নিম্নমুখী মূল্য হ্রাস করার লক্ষ্যে খোলা বাজারে ১০ মিলিয়ন নিলাম করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আফগানিস্তানের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটির এশিয়া অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জন সিফটন বলছেন, আফগানিস্তানের অর্থনীতি এবং সামাজিক পরিষেবাগুলো ভেঙে পড়েছে। আফগানরা ইতোমধ্যেই তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।