আপনি পড়ছেন

আল্লাহ প্রদত্ত সকল শরীয়তেই কুরবানির বিধান বিদ্যমান ছিল। মানব অথবা ধর্মের ইতিহাস যতোটা প্রাচীন কুরবানির ইতিহাস ততোটাই প্রাচীন। মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ ও দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আল্লাহ তা’আলার আনুগত্য লাভের ও সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম কুরবানি। এ পন্থায় ত্যাগ, তিতিক্ষার মাধ্যমে মানুষের সর্বাধিক প্রিয়বস্তু আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হয়।

eid ul azha

কুরবানি ইবাদত হিসেবে আদম আ. এর যুগ হতে প্রচলিত। কিন্তু পরবর্তীতে ঐতিহাসিক এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুরবানি বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে শুরু হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত চালু রয়েছে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কুরবানির প্রচলনের কথা কুরআনে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। কুরবানি আদায়ের পূর্বেই মুসলমান হিসেবে যা আমাদের জেনে নেয়া প্রত্যেকের জন্য আবশ্যক।

কুরবানি প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন, 'তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কুরবানি কর।'
(সূরা কাওসার, আয়াত নং ২)

অন্য এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, 'বল, আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে। তাঁর কোন শরীক নাই এবং আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি আর আমিই প্রথম মুসলিম।'
(সূরা আনআম, আয়াত নং ১৬২-১৬৩)

কুরবানির মাহাত্ম্য প্রসঙ্গে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘বারা ইবনে আযিব রাদি আল্লাহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের পর কুরবানির পশু জবেহ করল তার কুরবানি পরিপূর্ণ হল ও সে মুসলিমদের আদর্শ সঠিকভাবে পালন করল।’
(বুখারি শরিফ – ৫৫৪৫, মুসলিম শরিফ – ১৯৬১)

ওপরে বর্ণিত কুরআন ও হাদিসের সূত্র অনুযায়ী এই কথাই প্রতীয়মান হয় যে, কুরবানি সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর জন্য নিবেদিত। এই কুরবানির মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্যলাভ সহজ হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

কাদের ওপর কুরবানি ওয়াজিব?

কুরবানি: ফরজ, ওয়াজিব নাকি সুন্নাত?

কুরবানি আল্লাহর প্রতি ইবাদত

আল্লাহর নিকট গোশত নয়, পৌছায় বান্দার তাকওয়া

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর