সারাবছরই ঘর বাড়ি পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি ঘরের প্রতিটি জিনিসের বেশ যত্নআত্তি নিতে হয়। গৃহিণীরা আবার এই কাজে বেশ খুঁতখুঁতে। ঘরের কোনো জিনিসে ময়লা পাওয়া মাত্রই তারা ওঠে-পড়ে লাগেন ময়লা পরিষ্কার করতে। বছরের বিশেষ সময়গুলোতে এই তৎপরতা আরও বেড়ে যায় তাদের। এই সময়ে ঘরবাড়ি যে কোন মূল্যেই যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
এছাড়া সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর প্রশান্তির জন্য বাড়ি ফিরে অগোছালো ঘর-বারান্দা দেখতে মোটেও ভালো লাগে না। ঘর পরিষ্কার তো চাই-ই, সেই সাথে পরিবারের সুস্থতার দিকেও নজর রাখতে হবে। তাছাড়া ঈদও একেবারে দোরগড়ায়। ঘরদোর তাই এখনই পরিপাটি করে তোলা চাই। বাড়িঘর ঝকঝকে করে তুলতে জেনে নেয়া যাক কিছু সহজ পন্থা। কাজটি সহজ ও কম সময়ে করা গেলে মন্দ কি। চলুন দেখে নিই-
কয়েকদিন ঘর পরিষ্কার না করলে বাড়িতে ধুলোবালি জমে রীতিমতো অস্বাস্থ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়ে পড়ে। তাই ঘর নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত ডাস্টিং করুন। ঘরের কোণের ঝুল, খাটের নিচের ধুলো, সোফার কোণের ময়লা পরিষ্কার করতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারই আদর্শ। ঝুলঝাড়ণ্ড বা শলার ঝাঁটাও ব্যবহার করতে পারেন।
ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করতে সব সময় ঘরের ওপরের অংশ আগে শুরু করে পরে নিচের অংশ পরিষ্কার করা উচিত। সুতরাং সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে সোফা এরপর মেঝে পরিষ্কার করুন। ফ্যান পরিষ্কার করতে হলে ফ্যান বন্ধ করে দিন। তারপর বিছানায় খবরের কাগজ বিছান। ফ্যানের ব্লেডগুলো পরিস্কার করতে পুরোনো বালিশের কভার ব্যবহার করুন। বাল্বের ধুলাবালি ঝাড়তে পেইন্টব্রাশ ব্যবহার করুন।
জাজিম/তোশক/মেট্রেসের উপর বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিলে পরিষ্কার থাকবে, আবার গন্ধও হবে না। কার্পেটের দাগ দূর করতে আয়রন ব্যবহার করতে পারেন।
বিছানা ও বালিশের কভারের ঘামের বা লালার দাগ দূর করতে গরম পানি ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধুয়ে নিন। জানালার গ্রিল পরিষ্কারের জন্য পানির সাথে ভিনেগার মেশাতে পারেন। পর্দা, বেডকভার, বালিশের কভার ওয়াশিং মেশিন বা ড্রাই ক্লিনও করতে দিন।
সুবিধামত একদিন ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। শুধু ডিপ ফ্রস্ট নয় প্রতিটা তাক পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। দ্রব্যের এক্সপায়েরি ডেট দেখে বাসিগুলো ফেলে দিন। ফ্রিজে রাখা বোতলের পানি নিয়মিত বদলাতে হবে। কাপড়ের আয়রনটিকে মসৃণ এবং উজ্জ্বল করতে ব্যবহারের পর লবণ ছিটিয়ে আলতো এবং দৃঢ়ভাবে ঘষুন।
কম্পিউটার, টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার, স্টিরিও মত ইলেকট্রনিকের প্লাগ খুলে নরম ফাইবারের কাপড় বা লম্বা হ্যান্ডের নরম ব্রাশ দিয়ে ধুলো ঝাড়ুন। খাঁজে খাঁজে জমে থাকা ধুলো পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। দামী টিউব, ল্যাম্পশেড, শোপিস ও অন্যান্য ডেকরেটিং পিস দিয়ে ঘর সাজালে দিনে পনেরো মিনিট সময় দিন এসব পরিষ্কার করতে।
কাঁচের গ্লাস, ক্রিস্টালের জিনিস, বাসনপত্র পরিষ্কার করতে হালকা গরম সাবানের পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। শেষে পানি দিয়ে ধোয়ার সময় ভিনিগার দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।
রান্নাঘরে ডাস্টবিন থাকলেও ঘরে ছোট ছোট ডাস্টবিন রাখুন, যাতে নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা জমা করা যায়।