আফগানিস্তানে অসহায় হয়ে পড়েছে সাহায্য সংস্থাগুলো

আফগানিস্তানের সাহায্য সংস্থাগুলো (এইড এজেন্সি) ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নজিরবিহীন মানবিক সংকটে কাজ করতে গিয়ে তারা অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এতে বেসরকারি এসব এনজিওগুলো হতাশা প্রকাশ করেছে। ডিপিএ ইন্টারন্যাশনালের খবর।

আফগানিস্তানে অসহায় হয়ে পড়েছে এইড এজেন্সিগুলো

বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা, ব্যাংকিং বিধিনিষেধ এবং তালেবান সরকারকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অস্বীকৃতি- এই সবই আফগানিস্তানে সাহায্য সংস্থাগুলোর কাজে বাধার কারণ। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) আফগানিস্তানের কান্ট্রি ডিরেক্টর ভিকি আকেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে কর্মীদের বেতন দিতে এবং অপারেশনাল খরচ মেটাতে গুরুতর সমস্যা হচ্ছে।

তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর দাতা দেশগুলো সাহায্য প্রদান বন্ধ করে দেয়। আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশে আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর তহবিল স্থানান্তর স্থগিত করা হয়। আফগানিস্তানে একটি সংস্থা বর্তমানে নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি মাসে সর্বাধিক ২৫ হাজার ডলার তুলতে পারে। আইআরসি জানাচ্ছে, কাজের তহবিল দেওয়ার জন্য প্রতি সপ্তাহে ৪ লাখ ডলার প্রয়োজন।

তালেবানের পতাকা

তালেবান সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত না পেলে সংকট আরও বেড়ে যাবে। কারণ বর্তমান তালেবান সরকারের অবস্থা খুবই নাজুক। সরকারের সাথে সাহায্য সংস্থাগুলোকেও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে এই ভোগান্তি কমে আসবে।

এনজিওগুলোকে এখন আফগানিস্তানে কর দেওয়ার বিষয়ে ভাবতে হচ্ছে। কিছু সংস্থা কর না দেওয়ার চিন্তা করছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কর না দিলে তালেবান সরকার হয়তো সরকার দেশ থেকে তাদের তাড়িয়ে দেবে।

তবে ভিকি আকন বলছেন, কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। যার মধ্যে একজন নারী কিংবা মার্কিন নাগরিক তালেবান কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করতে পারছে। তারা তালেবানের কাছ থেকে সৌজন্যমূলক অভ্যর্থনাও পাচ্ছে। আইআরসির নারী কর্মীদের দেশব্যাপী তাদের কাজ পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।