গয়েশ্বর: আর কথা নয়, এখন শুধু অ্যাকশন

‘মধ্যরাতের সরকারের’ বিরুদ্ধে আর কথা নয়, এখন থেকে অ্যাকশন শুরুর কথা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ‘ভোট চোর’ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের লড়াইয়ে দলটি নেতৃত্বে দিবে বলেও জানান তিনি। আজ সোমবার এক সমাবেশ এ কথা বলেন সাবেক এই মন্ত্রী।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবিতে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সমাবেশ করা হয়। এতে অংশ নেন বিএনপি সমর্থিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের করার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্থান পরিবর্তন করা হয়।

সাবেক জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় আপনাদের নেতৃত্বে এখনো মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে। জনগণকে নিয়ে আরো ঐক্যবদ্ধ হন, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের মতো আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করব আমরা।

সাবেক জনপ্রতিনিধিদের সমাবেশ

‘মধ্যরাতের সরকার’কে বিদায় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা ‘গণতন্ত্রের মাতা’ বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, দেশবাসীকে মুক্ত করব। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, মুসলিম বিশ্বের প্রথম নির্বাচিত মহিলা প্রধানমন্ত্রী।

পৃথকভাবে ২৩টি আসনে নির্বাচন করে সবটিতে খালেদা জিয়া বিজয়ী হয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপি নেতা গয়শ্বর বলেন, তার সম্পর্কে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি-নেতারা যে ধরনের ঠাট্টা মশকরা করেন, তা শিষ্টাচার বহির্ভূত। এরা বেয়াদব, মুখে জবাব দেয়া যায় না। নেতাকর্মীদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলুন, এটাই আন্দোলনের সফলতার মূলমন্ত্র।

এ সময় বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মির্জা আব্বাস, রুহুল কবির রিজভী, শামা ওবায়েদ, নিপুণ রায় চৌধুরী, খন্দকার আবু আশফাক, জাকির হোসেন, শাহে আলমসহ সাবেক জনপ্রতিনিধিরা।