এবাদত-খালেদদের কমনসেন্স নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুজন

বরাবরের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজেও ব্যর্থ বাংলাদেশের পেসাররা। প্রথম টেস্টে দুই উইকেটের পর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের মাত্র দুই উইকেট নিতে পেরেছেন এবাদত হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদরা। টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান দলের ‘টিম ডিরেক্টর’ খালেদ মাহমুদ সুজন এজন্য পেসারদের কমনসেন্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

খালেদ মাহমুদ সুজন

সুজন মনে করেন, কোচ যতো ভালোই হোক না কেন, মাঠে কাজটা করতে হবে পেসারদেরকেই। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘যেদিন আল্লাহ দেয়, সেদিন পেসাররা উইকেট পায়। এছাড়া আর কি বলবো। প্রচুর অনুশীলন করে, ৬ ফুট লম্বা, ১৪০ কিলোমটার গতিতে বল করে। কোচ তো কাউকে কিছু গুলিয়ে খাইয়ে দিতে পারবে না। এটা আসলে কমনসেন্সের বিষয়। মাশরাফি কীভাবে উইকেট পেতো? তাপস বৈশ্য কীভাবে উইকেট পেতো?।’

পেসারদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে নিজেদের স্মৃতিচারণ করেছেন সুজন, ‘আমাদের সময় তো আমরা আরও পেতাম না। আরও জানতাম না। এখন তো আলাদা আলাদা কোচ আছে। প্রশ্নটা বোলিং কোচের কাছে করলে ভালো হতো। উইকেটে বল ধরেছে। এরপরও আমরা পেছনে পেছনে বল করেছি। এই উত্তর দেবেন বোলিং কোচ। পরিকল্পনা প্রয়োগ না করতে পারলে বোলিং কোচকে জিজ্ঞাসা করতে হবে।’

প্রথম ইনিংসে মাত্র এক উইকেট পেয়েছেন খালেদ

‘কোনটা বোলারদের শক্তির জায়গা আর কোনটা দুর্বলতার জায়গা, সেটা জানবে কোচরা। আমি একটা ম্যাচের কথা বলি। অস্ট্রেলিয়া সফরে জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও ম্যাথু হেইডেন ব্যাটিং করছিল। আমি তখন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। ডেভ হোয়াটমোর বলেছিলেন, তাদের শক্তির জায়গায় বোলিং না করতে। তাই আমরা বাইরে বোলিং করে গেছি। আমার কথা হল, যতো জোরেই বোলিং করি না কেন, দক্ষতা একটা ভিন্ন জিনিস। দক্ষতা আলাদা, বোধ-বুদ্ধিও আলাদা।’ যোগ করেন সুজন।