আরও দুই-তিন দিন কষ্ট করতে হবে সুজনদের

দীর্ঘ ২৮ ঘণ্টার ভ্রমণের পর গতকাল বাংলাদেশ সময় ভোর পাঁচটার দিকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পা রাখে বাংলাদেশ দল। অকল্যান্ড থেকে ক্রাইস্টচার্চে গিয়ে সাত দিনের কোয়ারেন্টাইনে প্রবেশ করেছে সফরকারীরা। দলটির টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, আরও দুই কিংবা তিনদিন কোয়ারেন্টাইন নামক কষ্ট সহ্য করতে হবে তাদের।

খালেদ মাহমুদ সুজন

তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে গত ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর করে বাংলাদেশ। করোনার কড়া স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সেবার দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হয়েছিল তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের। এবার সেটা কমিয়ে সাত দিনে আনা হয়েছে। তবে তিন-চারদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আলাদা আলাদা গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন এবং জিম করতে পারবে টাইগাররা। 

কোভিড টেস্টে নেগেটিভ আসলে সাত দিন পর থেকে দলীয় অনুশীলন করতে পরবে বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চ থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক এবং সিমিং অলরাউন্ডার বলেন, ‘কঠিন সময় যাচ্ছে। আরও দুই-তিন দিন আমাদের সবাইকে কষ্ট করতে হবে। এরপর আমরা গ্রুপ হয়ে অনুশীলন এবং জিম করতে পারবো। ধীরে ধীরে অনুশীলন শুরু হবে। কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু সুন্দর হয়ে আসবে। আমরা সবাই সুস্থ এবং ভালো আছি।’

ভিডিও কল ছাড়া এখন কাউকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না সফরকারীরা, ‘নিউজিল্যান্ড এসে পৌঁছানোর পর থেকেই আমরা সবাই রুমে। ভিডিও কল ছাড়া এখনও কারও সাথে দেখা হয়নি। দুই একজনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়েছে। আজকে কোয়ারেন্টাইনের প্রথম দিন। ঘুম থেকে ওঠার পর নাশতা শেষে ডাক্তার এবং দুই নার্স এসছিলেন। তারা আমাদের শারীরিক খোঁজখবর নিয়ে গেছেন।’