ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর ওপর আরও কঠোর হচ্ছে চীন!

নিজ দেশের ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর প্রতি আরও কঠোর হচ্ছে চীনের ক্ষমতাসীন সরকার- চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)। আগে থেকেই দেশটিতে ধর্ম পালনে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও এবার নতুন করে আরও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে তাইওয়ান নিউজ।

ধর্মীয় গোষ্ঠীর ওপর কঠোর চীন, ফাইল ছবি

চায়না ক্রিশ্চিয়ান ডেইলির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, চলতি ডিসেম্বরের শুরুর দিকে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত সিসিপি'র দুই দিনব্যাপী এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ধর্মকে 'পাপাচার' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সেই সঙ্গে ধর্মের বিপরীতে নতুন মতাদর্শ, যা সমাজতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ তা প্রণয়নের কথা বলা হয়।

চায়না এইড জানিয়েছে, এর আগে গত নভেম্বরে সিচুয়ানিজ শহরের কিংকাওডি চার্চের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে খ্রিস্টানদের গ্রেপ্তার করে চীনা কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে 'জালিয়াতির' অভিযোগ আনা হয়েছে। অবাক করা বিষয় হলো- গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে গির্জার যাজকও রয়েছেন। এ তালিকায় স্থনীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন নেতা এবং স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।

চীনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, ফাইল ছবি

এই ঘটনার পর থেকে জিন পিং সরকার দেশটির সব ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। সমালোচকরা বলছেন, ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে চীনা এই পদক্ষেপ নতুন কিছু নয়। তবে উইঘুরদের প্রতি বেইজিংয়ের আচরণের পর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা জানতে পেরেছে।

উইঘুর মুসলমানদের গণহারে বন্দিশিবিরে পাঠানো, তাদের ধর্মীয় রীতিনীতিতে হস্তক্ষেপ এবং জোরপূর্বক পুনঃশিক্ষণ কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচিত চীনের কমিউনিস্ট সরকার।

এ বছরের শুরুর দিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই কর্মকাণ্ডকে 'গণহত্যা' হিসেবে ঘোষণা দেয়। সবশেষ গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্যও জিনজিয়াংয়ে চীনের চলমান দমন-পীড়নকে 'গণহত্যা' বলে ঘোষণা দেয়।