হংকংয়ের নির্বাচনে চীনের হস্তক্ষেপ, জি-৭ নেতাদের নিন্দা

হংকংয়ে আইনসভার ভোটে চীনের হস্তক্ষেপের নিন্দা করেছে জি-৭ নেতারা। বিশ্বনেতারা জানিয়েছেন, বেইজিংয়ের আরোপিত নিয়মে সরাসরি নির্বাচিত আসন কমে গেছে এবং কারা নির্বাচন করবে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে চীনা ভূখণ্ডে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। জি-৭ এর সদস্যভুক্ত দেশগুলো হল- কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরা।

জি-৭, ফাইল ছবি

চীন দুই বছর আগে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে হংকংয়ে ব্যাপক ক্র্যাকডাউন চালায়। চীন অঞ্চলটিতে জাতীয় নিরাপত্তা আইন আরোপ করেছে, যার মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কারা প্রার্থী হবে, কার আনুগত্য করতে হবে- ওই আইনে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইনটি ভিন্নমতকে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করে।

খবরে বলা হচ্ছে, চীনের এই নতুন আদেশের অধীনে রোববার হংকংয়ের জনসাধারণ প্রথমবারের মতো আইনসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। নিবাচনে ভোটার অনুপস্থিতি ছিল নজিরবিহীন। আইন পরিষদের ৯০ আসনের মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিতদের সংখ্যা ৪৫ থেকে ২০ সদস্যে নেমে এসেছে।

চীনের পতাকা

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মাত্র ৩০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন, যার হার ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হস্তান্তর এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের পর সর্বনিম্ন। ২০১৬ সালের শেষ বিধানসভা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫৮ শতাংশ। আর ২০১৯ জেলা পরিষদ নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থীরা ভূমিধস জয় পেয়েছিল। ভোটার উপস্থিতি ছিল রেকর্ড ৭১ শতাংশ।

উন্নত দেশগুলোর গ্রুপ জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা হংকংয়ের নির্বাচনী ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক উপাদানের ক্ষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের বক্তব্য, ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের পছন্দকে কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে। ভোটে এই নতুন যাচাইকরণ প্রক্রিয়া হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের উচ্চ স্তরকে ক্ষুণ্ন করেছে।

এক দেশ দুই নীতির অধীনে ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্য চীনের কাছে অঞ্চলটি হস্তান্তর করে। জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা হংকংয়ে রাজনৈতিক আস্থা ফিরিয়ে আনতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার নামে হংকংয়ে চীনকে অবশ্যই নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।