চীনের সঙ্গে গোপন সম্পর্কে দোষী হার্ভার্ডের অধ্যাপক

চীন পরিচালিত একটি নিয়োগ কার্যক্রমের সাথে সম্পর্ক গোপন করার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বোস্টনের একটি জুরি অধ্যাপক চার্লস লিবারকে কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া, মিথ্যা ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করা এবং একটি চীনা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের রিপোর্ট করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে। বিবিসি।

অধ্যাপক চার্লস লিবার

অধ্যাপকের প্রতিরক্ষা আইনজীবী মার্ক মুকাসে বলেন, প্রসিকিউটরদের অভিযোগের প্রমাণের অভাব রয়েছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস মামলাটি ‘চীন ইনিশিয়েটিভ’ বলে অভিহিত করে, যা সর্বোচ্চ প্রোফাইলের মধ্যে একটি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময় ২০১৮ সালে চালু করা ওই কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল চীনের গবেষণা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনামূলক গোয়েন্দা তথ্য চুরি রোধ করা।

৬২ বছর বয়সী এই অধ্যাপককে ২০২০ সালে চীন থেকে অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি মোকাবেলায় মার্কিন প্রচারণার অংশ হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। কিছু সমালোচক বলছেন, এই প্রচারণা একাডেমিক গবেষণার জন্য ক্ষতিকর।

প্রসিকিউটররা বলছেন, লিবার জেনেশুনে গোপনে চীনের ‘হাজার ট্যালেন্টস প্ল্যান’-এ তার সম্পৃক্ততা রাখেন। যার লক্ষ্য বিদেশি গবেষণায় বিশেষজ্ঞদের আকৃষ্ট করা। অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটিকে নিরাপত্তা উদ্বেগ হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে।

হার্ভার্ডের রসায়ন ও রাসায়নিক জীববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক প্রধান চার্লস লিবার ২০১১ সালে চীনের উহান ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এই ভূমিকার জন্য তাকে ১ লাখ ৫৮ হাজার পর্যন্ত বেতন দেওয়া হত। জীবনযাত্রার ব্যয় ছাড়াও তাকে ৫০ হাজার ডলার মাসিক বেতন দেওয়া হতো।

নথিগুলো বলছে, চার্লস লিবারকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা ল্যাব স্থাপনের জন্য ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি দেওয়া হয়েছিল। এর বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তাকে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল। প্রসিকিউটররা বলছেন, তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে তার অংশগ্রহণ উহানের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তার অধিভুক্তি এবং চীনে অর্জিত আয়ের স্বচ্ছতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন।

তিনি এর আগে ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এবং ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান পেয়েছিলেন। এই অনুদানের প্রাপকদের বিদেশি সরকার বা সংস্থার আর্থিক সহায়তাসহ দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো প্রকাশ করার নিয়ম রয়েছে।