ঝাড়খণ্ডে মুসলমানদের অন্যরকম আনন্দ

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল ২০২১ পাস হয়েছে। এতে পুরো রাজ্যজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের নাগরিকরা খুশিতে মেতে ওঠেন। সরকারের সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে তারা মিষ্টি বিতরণ করেন।

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা

ঝাড়খণ্ড দেশের চতুর্থ রাজ্য হিসেবে বিধানসভায় এ ধরনের বিল পাস করেছে। এর আগে মণিপুর, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গেও এরকম আইন করা হয়েছে। রাজ্যটিতে এখন ক্ষমতায় আছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।

গত মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় প্রিভেনশন অব ঝাড়খণ্ড মব ভায়োলেন্স অ্যান্ড মব লিঞ্চিং বিল ২০২১ বা গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল পাস হয়। খবর পেয়ে মুসল্লিরা সরকারের সমর্থনে স্লোগান দেন এবং মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

গণপিটুনি প্রতিরোধের দাবি জানানো হচ্ছিল অনেক আগে থেকেই

ঝাড়খণ্ড বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের চতুর্থ দিনে বিজেপি বিধায়কদের ওয়াক আউটের মধ্যে ওই বিলটি পাস হয়। বিরোধী সদস্যদের পক্ষ থেকে বিলটি সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানোর জন্য বেশ কয়েকটি সংশোধনীর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

ঝাড়খণ্ড মুসলিম সেন্ট্রাল কমিটির সহ-সভাপতি আফরোজ আলম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই আইন শুধু মুসলিম সমাজের মানুষের জন্য নয় বরং সকল মানুষের জন্য কল্যাণকর প্রমাণিত হবে। যারা গণপিটুনিকে হাতিয়ার বানিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিত তাদের এবার শাস্তির আওতায় আনা হবে।

কমিটির কোষাধ্যক্ষ ডক্টর তারিফ অবশ্য পাস হওয়া বিল নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিলে দোষীদের জন্য আরো কঠিন শাস্তি রাখার দরকার ছিল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা উচিত ছিল। এ পর্যন্ত গণপিটুনির শিকার অধিকাংশই মুসলমান। কিন্তু তারা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পায়নি বা পুনর্বাসনেও তেমন কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যে ৫৬টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।