রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বনেতাদের হুঁশিয়ারি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, ইউক্রেন, পোল্যান্ড এবং আরও বেশ কয়েকটি দেশ একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসনের পরিণতি হবে ব্যাপক ও ভয়াবহ। এজন্য রাশিয়াকে গুরুতর মূল্য দিতে হবে। ইউরোপীয় দেশগুলোর পাশাপাশি বিবৃতির পক্ষে মতামত দিয়েছে ইইউ। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস এই খবর দিয়েছে।

ইউক্রেনে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ ও ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক শক্তি মোতায়েনের বিষয়টি উদ্বেগজনক। জাতিসংঘের চার্টার কোনো রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বা রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হুমকি বা শক্তির ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক আগ্রাসনের পদক্ষেপের পরিণতি হবে ব্যাপক। রাশিয়াকে এর মারাত্মক মূল্য দিতে হবে।

দেশগুলো রাশিয়াকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার শত্রুতা ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। ইউক্রেনের আশপাশে উত্তেজনা কমাতে রাশিয়া যে সামরিক বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার চান বিশ্ব নেতারা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের লোগো

বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, রাশিয়ার পদক্ষেপগুলো বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের বিষয় এবং জাতিসংঘের সনদসহ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। হেলসিঙ্কি চূড়ান্ত আইন এবং প্যারিস সনদ রাশিয়ার পদক্ষেপের বিপরীতে অবস্থান করছে। ইউক্রেন ঘিরে রাশিয়ার যে সামরিক উত্তেজনা তা ইউরোপের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।

ইউক্রেনীয় সংকট হল ২০১৩-১৪ ইউরোমাইডান বিক্ষোভের সম্মিলিত নাম যা ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইউক্রেনের একীভূতকরণের জন্য উদ্ভূত সামাজিক আন্দোলন। আন্দোলনটি ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়দান বিপ্লব এবং পরবর্তী রাশিয়াপন্থী অস্থিরতার সাথে যুক্ত।

সঙ্কট শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে একটি চুক্তি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি স্থগিত করেছিলেন। এই সিদ্ধান্ত চুক্তির সমর্থকদের কাছ থেকে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়।

ফলস্বরূপ প্রতিবাদকারীরা একটি বিপ্লবের সূচনা করে যা ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করে। ঘটনাটি ইউক্রেনের রুসোফোনের পূর্ব এবং দক্ষিণ অঞ্চলে অশান্তি সৃষ্টি করে, যেখান থেকে ইয়ানুকোভিচ তার বেশিরভাগ সমর্থন পেয়েছিলেন।