জিনজিয়াংয়ের পণ্য নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্রে আইন পাস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে তৈরি পণ্য নিষিদ্ধ করার জন্য একটি নতুন আইনে স্বাক্ষর করেছেন। বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে খারাপ সম্পর্কের মধ্যেই তিনি আইনটিতে স্বাক্ষর করলেন। চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের সর্বসম্মত ভোটে আইনটি প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেটে পাস হয়। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, চীনের বৃহত্তর মুসলিম উইঘুর সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর চীনের নিপীড়ন ও নির্যাতন থামছে না। আল জাজিরা।

জো বাইডেন

জিনজিয়াং থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কম্বল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পণ্যগুলো জোরপূর্বক শ্রম দিয়ে তৈরি করা হয়নি, সরবরাহকারীদের প্রথমে তা প্রমাণ করতে হবে। তুলা এবং সৌর প্যানেলের একটি বড় সরবরাহকারী হল জিনজিয়াং।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলো জানাচ্ছে, ১ মিলিয়নেরও বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলমানকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিনজিয়াংয়ের একটি বিশাল শিবিরে বন্দী রাখা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অনেক অধিকার গোষ্ঠী এর তীব্র নিন্দা করে আসছে।

উইঘুর মুসলমান

আইন পাসে তোলা বিলটির প্রধান রিপাবলিকান পৃষ্ঠপোষক সিনেটর মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে বলেন, জিনজিয়াংয়ে ভয়ঙ্কর মানবাধিকার পরিস্থিতি বিরাজ করছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সম্পূর্ণরূপে এই পরিস্থিতির অনুমোদন করেছে।

তবে জিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। ওয়াশিংটন ডিসির চীনা দূতাবাস গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন মার্কিন আইন সম্পর্কে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি।

জিনজিয়াংয়ের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে প্রায় এগারো মিলিয়ন উইঘুরদের বেশিরভাগই মুসলিম এবং তুর্কিভাষী জাতিগোষ্ঠী। চীনা সরকার ২০১৭ সাল থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি লোককে বন্দী করেছে। শুধু তাই নয়, তাদেরকে কঠোর নজরদারি, ধর্মীয় বিধিনিষেধ, জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণের মতো জঘন্য অপরাধ করছে চীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিনজিয়াংয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত কয়েক ডজন চীনা সংস্থার কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা ও তাদের কালো তালিকাভুক্ত করেছে ২০২১ সালে। উল্লেখ্য, জিনজিয়াংয়ের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে প্রায় এগারো মিলিয়ন উইঘুরসহ অন্যান্য মুসলিম ও তুর্কিভাষী জাতিগোষ্ঠী বাস করে।

চীনা সরকার ২০১৭ সাল থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি লোককে বন্দী করেছে। তাদেরকে নিবিড় নজরদারি, ধর্মীয় বিধিনিষেধ, জোরপূর্বক শ্রম এবং জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণের জন্য আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিনজিয়াং-এ অপব্যবহারের সাথে যুক্ত কয়েক ডজন চীনা সংস্থার কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং কালো তালিকাভুক্ত করেছে ২০২১ সালে। চীনের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র।