কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্য রোধে আইন হচ্ছে চীনে

চীনা আইনপ্রণেতারা কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য ও নারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নতুন আইন তৈরি করার জন্য আলোচনা করছেন। আইনটির একটি খসড়া বিল শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে নিয়োগকর্তাদের চাকরির বিজ্ঞাপনে লিঙ্গ পছন্দ উল্লেখ করা ও নারী আবেদনকারীদের বৈবাহিক বা গর্ভাবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কয়েক দশক ধরে সাধারণভাবে এই বৈষম্যগুলো চলে আসছিল। জাপান টাইমস।

কর্মক্ষেত্রে চীনা নারী

গত চার দশকে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও এক সন্তান জন্মদানের নিয়ম চীনা নারীদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। কিন্তু নিয়োগের সময় লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের কারণে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ হ্রাস পেয়েছে।

জুন মাসে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৯ সালে সিভিল সার্ভিস চাকরির ৫টির মধ্যে একটি পদ নির্দিষ্ট পুরুষদের জন্য। স্কুলে নারীদের নিয়োগের পূর্বশর্ত হিসেবে কয়েক বছর ধরে গর্ভবতী না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছিল।

চীনের পতাকা

তবে চীনের নতুন তিন সন্তানের নিয়ম নারীদের নিয়োগে আরও অনিচ্ছুক করে তুলতে পারে। কর্মকর্তারা স্থানীয় মি টু আন্দোলনের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চালানো পর বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এতে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনসাধারণ বিক্ষোভ-প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, এই মাসের শুরুর দিকে ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা গ্রুপ একজন মহিলা কর্মীকে বরখাস্ত করেছে, যিনি একজন ম্যানেজারের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন। প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো যৌন হয়রানি কী, তা স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। এতে আইনটি প্রয়োগ আরও সহজ হবে।

শুক্রবার প্রকাশিত আইনটির খসড়ায় বলা হয়েছে- অশ্লীল বক্তব্য, অনুপযুক্ত শারীরিক আচরণ, যৌন ছবি, তথ্য, পাঠ্য, অডিও বা ভিডিও প্রদর্শন বা প্রচার নিষিদ্ধ। এসব বিষয় নিয়োগকর্তাদের তদন্ত করতে হবে। কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হলে জরিমানা করা হবে কি-না, সে সম্পর্কে কোনো বিবরণ নেই। আইনটির ব্যাপারে আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত জনসাধারণের মতামত নেওয়া হবে।