এলপিজির দাম বৃদ্ধির জেরে সরকার পতন

সম্প্রতি লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস, এলপিজির দাম বৃদ্ধির জেরে তীব্র আন্দোলনের মুখে কাজাখস্তানে সরকারের পতন ঘটেছে। আজ বুধবার (৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট তোকায়েভ। বিক্ষোভকারীরা সরকারি ও সামরিক স্থাপনায় আক্রমণের ঘোষণা দেয়ায় পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়।

কাজাখস্তানে সরকার পতন

ডয়চে ভেলে জানায়, এলপিজির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথমে কাজাখস্তানের আলমাটি ও তেলসমৃদ্ধ অঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অঞ্চল দুটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।

তারপরও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে দিনরাত শহরের রাস্তায় অবস্থান নেয়। বিক্ষোভকারীরা পাল্টা সরকারি ও সামরিক স্থাপনায় আক্রমণের ডাক দেয়। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সরকারের পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী আসকার মামিন।

কাজাখস্তানে সরকার পতন

একযোগে পুরো সরকারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট জানান, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী আলী খান ইসমাইলভকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। 

রয়টার্স জানায়, কাজাখস্তানের অনেকে এলপিজি দিয়ে গাড়ি চালিয়ে থাকেন। এতদিন দাম নিয়ন্ত্রণে রাখায় গ্যাসোলিনের থেকে এলপিজিতে গাড়ি চালাতে শুরু করেন তারা। করোনাকালে হঠাৎ করেই এলপিজির দাম বাড়ায় রাস্তায় নামে বিপুল সংখ্যক মানুষ।

এর আগে জ্বালানি পণ্য এলপিজির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল কাজাখ সরকার। গতকাল মঙ্গলবার সেই প্রাইস ক্যাপ তুলে নেয়া হলে এলপিজির দাম অনেক বেড়ে যায়। ফলে গতকাল থেকেই শুরু হয় প্রতিবাদ, যা একপর্যায়ে সহিংসতায় রূপ নেয়।