ডা. মুরাদ দম্পতির ৩ অস্ত্র জমা নিয়েছে পুলিশ

বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের লাইসেন্স করা দুটি অস্ত্র জমা নিয়েছে পুলিশ। স্ত্রীকে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার অস্ত্র জমা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্ত্রীর লাইসেন্স করা একটি অস্ত্রও জমা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ডা. মুরাদ হাসান, ফাইল ছবি

জানা গেছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের, ডিএমপি, ধানমন্ডি থানা এসব অস্ত্র জমা নিয়েছে। আজ রোববার, ৯ জানুয়ারি, এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ওসি, ইকরাম আলী মিয়া। গতকাল শনিবার, ৮ জানুয়ারি, দিবাগত রাতে এগুলো জমা নেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।

ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, ডা. মুরাদের স্ত্রী যেহেতু তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে একটি জিডি করেছেন, তাই তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি অস্ত্র জমা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে ডা. মুরাদের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্রগুলো থানায় জমা দিতে বলা হয়। গতকাল, শনিবার, থানার নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি এসে দুটি অস্ত্র জমা দিয়ে গেছেন। অপরদিকে, তার স্ত্রীও নিজের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা দিয়েছেন। তিনটি অস্ত্রের মধ্যে একটি পিস্তল ও দুটি শটগান।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, জিডিতে যেহেতু নিরাপত্তার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, সে কারণেই অস্ত্রগুলো জমা নিয়েছি আমরা। বিষয়টির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাদের অস্ত্রগুলো থানায় জমা থাকবে।

প্রসঙ্গত, ডা. মুরাদের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান গত ৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে, তিনি ও তার সন্তানদের গালিগালাজ, মারধর এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন ডা. মুরাদ।

অভিযোগ পাওয়ার পর ১৫ নম্বর রোডের বাসায় যায় ধানমন্ডি থানা পুলিশের একটি দল। তবে তার আগেই বাসা থেকে বের হয়ে যান মুরাদ। একই দিন নির্যাতনের অভিযোগ এনে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি, জিডি, করেন জাহানারা এহসান।