ভারতবিরোধী কার্যকলাপের কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে তুরস্ক!

কাশ্মিরের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে তুরস্ক হল নতুন দুবাই। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন ভারতের মূল ভূখণ্ডের মুসলমানদের সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে সন্দেহ জাগাতেও কাজ করছে তুরস্ক। এক্ষেত্রে দেশটি কর্মকাণ্ডের পরিধি প্রসারিত করার চেষ্টা করছে। দ্য ট্রিবিউন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি

গত বছরের শেষের দিকে দুটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তুরস্কের উত্থানকে চিহ্নিত করেছে ভারত। সেখানে উঠে এসেছে, পাকিস্তানের আইএসআই ভারতবিরোধী কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবের বাইরে এখন তুরস্কের সাথে কাজ করছে। আরব দেশগুলো নয়াদিল্লির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করায় তুরস্ককে বেছে নিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।

খবরে বলা হচ্ছে, তুরস্কের বৈদেশিক নীতির প্রসারণের ফলে আঙ্কারা এখন আরবদের বাইরের মুসলমানদের প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা করছে। পাকিস্তান এবং মালয়েশিয়ার সাথে জোট গঠনের ব্যর্থ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, তুরস্ক আইএসআইয়ের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে। কাশ্মির ছাড়িয়ে ভারতে ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোকে তুরস্ক সমর্থন করছে, যা তাদের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এনএসসি সেক্রেটারিয়েটের রিপোর্টে তুর্কি সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ত্রিমুখী প্রচেষ্টার কথা বলা হয়েছে। তুরস্ক গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এনজিওর মাধ্যমে ভারতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে ভারতের মুসলমানদের প্রভাবিত করছে।

আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে সফল সামরিক অভিযানের পরে তুরস্ক-আজারবাইজান-পাকিস্তান জোটকে শক্তিশালী রূপ দান করার প্রচেষ্টা চলছে। ভারত আর্মেনিয়ার পক্ষে ৪০ মিলিয়ন মূল্যের স্বাথি রাডার সরবরাহ করে সমর্থন করেছিল। বলা হচ্ছে, ভারতের কিছু মুসলিম সংগঠন আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে। অথচ ভারত অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে আর্মেনিয়াকে আরও সাহায্য করার পরিকল্পনা করছে।

খবরে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের আইএসআই আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আজারবাইজানকে ভাড়াটে সৈন্য সরবরাহ করেছিল। এই অঞ্চল থেকে ভারতকেও শক্তিহীন করতেও আগ্রহী তারা। ভারত মূলত ঐতিহ্যগতভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে নিজ অবস্থানকে রক্ষা করে আসছে।

ভারত আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোরের (আইএনএসটিসি) মাধ্যমে এই অঞ্চলে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপকভাবে জড়িত হওয়ার পরিকল্পনা করেছে। চাবাহার বন্দরকেও এই পরিকল্পনার পরিধিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আলোচনা চলছে।