আকস্মিক সফরে বাহরাইনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ তড়িৎ সফরে বাহরাইন গেছেন। দেশটির সাথে প্রথম সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে তোড়জোড় চলছে। দুই দিনের সফরে তিনি বাহরাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল্লাহ বিন হাসান আল নুয়াইমির সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবেন। উপস্থিত থাকবেন বাহরাইনের চিফ অফ স্টাফ থেয়াব বিন সাকের আল নুয়াইমিও। জেরুজালেম পোস্ট।

তড়িৎ সফরে বাহরাইনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

খবরে বলা হচ্ছে, চুক্তিটি নিরাপত্তা সহযোগিতা কাঠামো স্থাপন চুক্তি, যা দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে জোরদার করবে। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি অস্ত্র চুক্তি এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত বিক্রয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইসরায়েল থেকে সমস্ত অস্ত্র রপ্তানি তদারকি করে থাকে।

সফরে গ্যান্টজ রাজা হামাদ বিন ঈসা বিন সালমানের সাথেও দেখা করবেন এবং ইসরায়েলি নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল ডেভিড সার সালামের সাথে বাহরাইনে অবস্থিত মার্কিন নৌবাহিনীর ৫ম নৌবহর পরিদর্শন করবেন। গ্যান্টজ ইসরায়েল এয়ার ফোর্সের রাম ট্যাঙ্কারে সৌদি আরবের উপর দিয়ে মানামার উদ্দেশে উড়ে যান প্রথমবারের মতো।

তিনি মূলত মিশরীয় বিমান বাহিনীর একটি এয়ারক্র্যাফট ব্যবহার করেন, যেটি ১৯৭৭ সালে মিশরীয় প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার সাদাতকে বহন করে ইসরায়েলে প্রথম অবতরণ করেছিল। ইসরায়েলের সাথে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে সাদাত ইসরায়েলে আসেন। ২০১১ সালে ইসরায়েল একটি বেসামরিক কোম্পানির কাছ থেকে বিমানটি কিনেছিল। বিমানটি এখন ইসরায়েল এয়ার ফোর্সের ১২০তম স্কোয়াড্রনের পরিষেবা দিচ্ছে।

বাহরাইনের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি এমন সময়ে আসল, যখন ইরানের সাথে ইসরায়েলের উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। ইসরায়েলি নৌবাহিনী ইউএস নেভাল ফোর্সেস সেন্ট্রাল কমান্ড যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি বৃহৎ সামুদ্রিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম এক্সারসাইজ বা আইএমএক্স নামের মহড়ায় ৬০টির বেশি সামরিক বাহিনী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার ৯ হাজারের বেশি কর্মী অংশ নিচ্ছে। ৫০টি জাহাজ এই মহড়ায় অংশ নেবে, যা মনুষ্যবিহীন নৌ ব্যবস্থা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে। জেরুজালেম এবং মানামা আব্রাহাম চুক্তির আওতায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে স্বাভাবিককরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।