সিরিয়ায় মার্কিন হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ১২

উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে শিশুসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্রোহী যোদ্ধাদের তথ্য অনুযায়ী এ খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো আজ বৃহস্পতিবার আল জাজিরাকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।

হামলায় বিধ্বস্ত একটি বাড়ি

আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি ধরা পড়ার পর এই অভিযানকে ‘সবচেয়ে বড়’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাগদাদিকে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ২০১৯ সালে মার্কিন বিশেষ অভিযানে হত্যা করা হয়।

খবরে বলা হচ্ছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীকে প্রতিরোধকারী সবশেষ বিদ্রোহী ছিটমহল ইদলিব প্রদেশে তুরস্ক সীমান্তের কাছে রাতভর অভিযান চালায় মার্কিন সামরিক বাহিনী। এতে সাত শিশু ও তিন নারীসহ অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।

পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি

অভিযানটি একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে, যেখানে সিরিয়ার যুদ্ধ থেকে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষ অস্থায়ী শিবিরে বাস করে। বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপিকে বেসামরিক লোক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা আটমেহ গ্রামের একটি বাড়ির চারপাশে মৃতদেহের অংশগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছেন।

অভিযানের সময় তুমুল গোলাগুলি চলে। এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, মিশন সফল হয়েছে। তবে কে এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল বা কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি-না, সে সম্পর্কে কোনও বিশদ বিবরণ দেয়নি।

পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি বলেছেন, ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন বিশেষ অপারেশন বাহিনী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। রয়টার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, অভিযানটি সন্দেহভাজন আল কায়েদা-সংশ্লিষ্ট যোদ্ধাকে লক্ষ্য করে হতে পারে।

তবে ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে অন্য কোনও তথ্য নেই। বাসিন্দারা বলেছেন, অভিযানের সময় তারা ভারী গুলির শব্দ শুনেছেন, যাতে মনে হয়েছে কোনো গোষ্ঠী মার্কিন অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি করেছিল। সিরিয়ার বিদ্রোহীপন্থী টিভি চ্যানেলের পোস্ট করা ভিডিও ক্লিপে আহত শিশুকে উদ্ধার করতে দেখা গেছে।

ভিডিওগুলো তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশের সীমান্ত বরাবর আতমেহ শহরে তোলা হয়েছে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো চার্লস লিস্টার রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেছেন। অপারেশনটি দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছিল। এটা স্পষ্ট যে, টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে জীবিত ধরার উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন বাহিনীর।