শঙ্কার পাশাপাশি আশার কথাও শোনালেন ড. বিজন
- Details
- by জীবনশৈলী ডেস্ক
করোনার সবচেয়ে ভয়ংকর ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়, গত বছরের ৮ নভেম্বর। এরপর বিদ্যুৎগতিতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে টিকা অকার্যকর করতে সক্ষম এই অতিসংক্রামক ভাইরাসটি। ফলে দেশে দেশে সংক্রমণের নতুন ঢেউ বইছে।
বিজন কুমার শীল ও ওমিক্রন, ফাইল ছবি
এর মধ্যেই ওমিক্রনের একাধিক সাব-ভ্যারিয়েন্ট ৫৭টির বেশি দেশে শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডাব্লিউএইচও। এর মধ্যে ‘বিএ.২’ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ ৪৯টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এটি। এমতাবস্থায় নতুন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশি বিশিষ্ট অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল।
ওমিক্রনের বিদায় হলেও নতুন আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট আসবে উল্লেখ করে এক ভার্চ্যুয়াল আলাপচারিতায় তিনি বলেন, সেটি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারবে না। করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। ওমিক্রনের মধ্যেও ৩টি সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে- বিএ.১, বিএ.২ ও বিএ.৩। এগুলোর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয়টি কাছাকাছি, বেশি সংক্রমক।
ওমিক্রন, ফাইল ছবি
ওমিক্রন প্রধানত শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে আক্রান্ত করে, যেখানে এসি-২ রিসেপ্টরের পরিমাণ খুব কম থাকার পরেও গ্রো করছে। এটি প্রমাণ করে, ভ্যারিয়েন্টটি নিজেই আরেকটি রিসেপ্টর তৈরি করেছে। এখন নতুন ভ্যারিয়েন্ট এসে আরেকটি রিসেপ্টর বাইন্ডিং তৈরি করলে সমস্যা তৈরি হতে পারে, বলছেন ড. বিজন।
সম্ভাব্য নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ভাইরাস প্রতিরোধের কোষ চারটি, যা একসঙ্গে কাজ করে থাকে। ফলে যে ভ্যারিয়েন্টই আসুক, তা ব্যাপকভাবে বিস্তার ঘটাতে পারবে না। এর আরেকটি কারণ হলো- মানুষের দেহে এখন পর্যাপ্ত এন্টিবডি তৈরি হয়েছে।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর