অদৃশ্য শঙ্কায় দুবাইয়ে ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা বাড়াল ইসরায়েল

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। বিমান নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উপসাগরীয় দেশটির সাথে একটি সম্ভাব্য সংকটের বিষয়ে সতর্ক করেছে ইসরায়েল। জেরুজালেম পোস্ট।

আরব আমিরাতে ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়েছে ইসরায়েল

তেল আবিব থেকে দুবাই পর্যন্ত সরাসরি এল আল, ইসরাইর এবং আরকিয়া ফ্লাইটগুলো চলে। ২০২০ সালে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন চুক্তির আওতায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। এর পর থেকে হাজার হাজার ইসরায়েলি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।

তবে হঠাৎ করে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা সিনবেথ দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করার কারণে ফ্লাইট স্থগিতের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে মূল কারণ প্রকাশ্যে বিস্তারিত জানা যাচ্ছে না। ফ্লাইট পরিষেবাগুলো বলছে, সংকটের মীমাংসা না হলে তারা দুবাইয়ে ফ্লাইট ভেড়াবে না।

আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের পতাকা

বর্তমান স্থগিতাবস্থার মেয়াদ গতকাল মঙ্গলবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, পরিবহন মন্ত্রী মেরাভ মাইকেলি আরও প্রায় এক মাস সময়সীমা বাড়িয়েছেন যাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংকট নিয়ে আলোচনা চলতে পারে। তবে দুবাই কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সময়সীমা বাড়ানোর সাথে সাথে ইসরায়েল তার নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবেলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলি এয়ারলাইনগুলো শেষ পর্যন্ত দুবাইতে ফ্লাইট বন্ধ করে দিলে আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের কার্যক্রমের বাস্তবিক সমাপ্তি ঘটতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, যদি এল আল আমিরাতে উড়তে না পারে, তাহলে আমিরাতি কোম্পানিগুলো এখানে অবতরণ করতে পারবে না। আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বাহক ফ্লাই দুবাই সরাসরি দুবাই-তেলআবিব ফ্লাইট পরিচালনা করে এবং দুবাইয়ের এমিরেটস ইসরায়েলে ফ্লাইট চালু করতে চাইছে। ইতিহাদ এয়ারওয়েজ এবং উইজ এয়ার আবুধাবি থেকে তেল আবিবের উদ্দেশ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে।

এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, সংকটটি আঞ্চলিক হতে পারে, কেবল দ্বিপাক্ষিক নয়। এটি আব্রাহাম অ্যাকর্ডে সংযুক্ত থাকা আরব দেশগুলোর মধ্যে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য জানাতে রাজি হয়নি।