ইউক্রেন ঘিরে রেখেছে দুই লাখ সেনা!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি নিশ্চিত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং আগামী দিনে যে কোনো সময় হামলা হতে পারে। মূল্যায়নটি মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। হামলায় রাজধানী কিয়েভকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে। ইউক্রেন ঘিরে এখন প্রায় দুই লাখ রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে। তবে রাশিয়া বরাবরই হামলার পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে আসছে। বিবিসি।

কার্যত ইউক্রেন ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা

পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, আক্রমণ চালানোর অজুহাত তৈরি করতে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন পূর্বাঞ্চলে একটি কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের আশেপাশে ১ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার রাশিয়ান সৈন্য রয়েছে বলে মার্কিন অনুমান। এর মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র ডোনেটস্ক এবং লুহানস্কের রুশ-সমর্থিত যোদ্ধারাও অন্তর্ভুক্ত।

হোয়াইট হাউস থেকে এক টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, হামলার ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশ্বাস’ যথাযথ। রাশিয়ান বাহিনী যে কোনো দিন ইউক্রেনে আক্রমণ করে বসতে পারে। এই মুহুর্তে আমি নিশ্চিত, পুতিন হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মানচিত্র

তবে বাইডেন বলছেন, রাশিয়া এখনও কূটনৈতিক সমাধান বেছে নিতে পারে। উত্তেজনা কমাতে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে পারে। এর আগে গতকাল শুক্রবার, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আরেকটি চিহ্ন দেখা গেছে। দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী এলাকার নেতারা বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তারা জানান, ইউক্রেন হামলার পরিকল্পনা নিয়েছে। গোলাগুলি তীব্রতর হচ্ছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন নির্দেশ দিয়েছেন- সীমান্তের কাছে শরণার্থী শিবির স্থাপন করা হবে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী এলাকা থেকে আগত লোকদের জরুরি সহায়তা দেওয়া হবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের বহনকারী বেশ কয়েকটি বাস রাশিয়ার দিকে যেতে দেখা গেছে। তবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ওই উচ্ছেদের ঘোষণাকে মস্কোর নিষ্ঠুর পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে।