‘ইউনিসের’ তাণ্ডব, ইউরোপে ৮ মৃত্যু

যুক্তরাজ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ইউনিসের আঘাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপের অন্যান্য অঞ্চলে মারা গেছে আরও পাঁচজন। লন্ডনে প্রচণ্ড বাতাসে গাছগাছালি উপড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িঘর। শহরটিতে ৩০ বছর বয়সী একজন মহিলা, হ্যাম্পশায়ারে ২০ বছর বয়সী একজন পুরুষ এবং মারসিসাইডে ৫০ বছর বয়সী একজন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। বিবিসি।

লন্ডনে ঘূর্ণিঝড় ইউনিসের আঘাত

ইউরোপে ইউনিসের আঘাতে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘরবাড়ির ছাদ ভেঙ্গে গেছে, যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে। কয়েক হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলের দ্বীপ আইল অফ উইটে ঝড়টির গতি ছিল ঘণ্টায় ১২২ কিলোমিটার। ঝড়টি একটি অস্থায়ী রেকর্ড তৈরি করেছে।

গতকাল শুক্রবারের প্রথম দিকে আবহাওয়া অফিস বিরল লাল আবহাওয়া সতর্কতা জারি করে। এরপর দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ ওয়েলসের উপকূলীয় অঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। সতর্কতায় প্রাণঘাতী বিপদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়।

বায়ু, তুষার এবং বরফের উদ্বেগের কারণে স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং উত্তর ইংল্যান্ডের কিছু অংশজুড়ে বেশ কয়েকটি হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। উত্তর লন্ডনের হাইগেটের পুলিশ জানিয়েছে, একটি গাড়ির ওপর একটি গাছ পড়ার খবরে তাদের ডাকা হয়েছিল। সেখানে এক নারী যাত্রীকে মৃত পাওয়া যায়। গাড়ির চালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাড়িটি ওই যাত্রীকে নিয়ে অ্যানট্রির দিকে যাচ্ছিল। এমন সময় বাতাস উইন্ডস্ক্রিনে আঘাত হানে। আলটন, হ্যাম্পশায়ারে দুই ব্যক্তি একটি পিকআপ ট্রাকে ছিল। তাদের ওপর গাছ পড়লে তারা মারা যায়। সারাদেশে পুলিশ বাহিনী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার ফোন কল পেয়েছে। সবই ছিল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের।

লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড একটি বড় ঘটনার তথ্য জানিয়েছে। দক্ষিণ-মধ্য ইংল্যান্ডের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাও ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে। তা হল- আহতদের মধ্যে একজন মহিলা তার শিশুর সাথে ছিলেন, যিনি বেডফোর্ডের একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়েছিলেন। তবে শিশুটি অক্ষত ছিল।

উইল্টশায়ারের একজন চালকের অবস্থা গুরুতর ছিল। একটি পতিত গাছের সাথে গাড়ির সংঘর্ষের পর দুই যাত্রীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দক্ষিণ লন্ডন এবং হেনলি-অন-টেমস এলাকায় গাছ এবং বাড়িঘর ধসে আহত হয়েছে কয়েকজন। ছাদ ভেঙ্গে অনেক মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।