তুরস্কে পৌঁছেছেন রুশ-ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিরা

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার জন্য তুরস্কে পৌঁছেছেন দুই দেশের শান্তি আলোচনা বিষয়ক প্রতিনিধিরা। আজ বৃহস্পতিবার এই আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। যুদ্ধ বন্ধে এ পর্যন্ত এটিই শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনা হতে যাচ্ছে।

আন্তালিয়া শহরে পৌঁছেছেন ইউক্রেনীয় কূটনীতিকদের বহর, ছবি-বিবিসি

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা তুরস্কের শহর আন্তালিয়ায় পৌঁছেছেন।

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে তা বন্ধে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে তুরস্ক। এরই অংশ হিসেবে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লুর আহ্বানে বৃহস্পতিবার শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে আন্তালিয়া শহরে পৌঁছান কুলেবা।

ইউক্রেন, তুরস্ক ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিবিসি বলছে, আলোচনায় অংশ নিতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকেও তুরস্কে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তিনি একদিন আগে গতকাল বুধবার দেশটিতে গেছেন। আন্তালিয়া শান্তি আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংঘাত বন্ধে একটি ইতিবাচক ফলাফল আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে ইউক্রেনে রাশিয়া অভিযান শুরু করার পর এই প্রথম তিন পক্ষ, অর্থাৎ ইউক্রেন, রাশিয়া ও তুরস্কের কূটনীতিকদের মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকের আগের দিন গতকাল বুধবার, ৯ মার্চ এর ফলাফল নিয়ে উচ্চাশা পোষণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আন্তালিয়ায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তার মাধ্যমে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ উন্মুক্ত হবে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়ে আসছেন এরদোয়ান।

যুদ্ধ শুরুর পর দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ে তিন দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী বেলারুশে অনুষ্ঠিত সেসব আলোচনার ফলাফল একেবারে শূন্য। এমনই প্রেক্ষাপটে আজ প্রথমবারের মতো ইউক্রেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই বৈঠক নিয়ে তুরস্কের মতো অন্যরা বড় আশ করছে।

দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেন। তারপর থেকেই দেশটিতে চলছে রাশিয়ার জল, স্থল ও আকাশ পথে সমন্বিত হামলা। ইতোমধ্যে রুশ সেনাদের হামলায় তছনছ হয়েছে প্রতিবেশী ছোট্ট এ দেশটি। ১৫ লাখের বেশি মানুষ শরণার্থী হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।