তুরস্কে বৈঠক করছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধে বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্গে রয়েছে রয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করছে তুরস্ক। দেশটির আন্তালিয়া শহরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

তুরস্কে বৈঠক করছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনে বিরুদ্ধে রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো বৈঠকে মিলিত হলেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এই বৈঠক থেকে ইতিবাচক ফলাফল আশা করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা তুরস্কের আন্তালিয়ায় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। এর আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু তাদের দেশটিতে স্বাগত জানান।

১৫ লাখের বেশি ইউক্রেনিয়ান শরণার্থী হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন

এর আগে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই সপ্তাহ আগে ইউক্রেনে রাশিয়া অভিযান শুরু করার পর এই প্রথম তিন পক্ষ, অর্থাৎ ইউক্রেন, রাশিয়া ও তুরস্কের কূটনীতিকদের মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকের আগের দিন গতকাল বুধবার, ৯ মার্চ এর ফলাফল নিয়ে উচ্চাশা পোষণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আন্তালিয়ায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তার মাধ্যমে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ উন্মুক্ত হবে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়ে আসছেন এরদোয়ান।

যুদ্ধ শুরুর পর দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ে তিন দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী বেলারুশে অনুষ্ঠিত সেসব আলোচনার ফলাফল একেবারে শূন্য। এমনই প্রেক্ষাপটে আজ প্রথমবারের মতো ইউক্রেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই বৈঠক নিয়ে তুরস্কের মতো অন্যরা বড় আশা করছে।

দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেন। তারপর থেকেই দেশটিতে চলছে রাশিয়ার জল, স্থল ও আকাশ পথে সমন্বিত হামলা। ইতোমধ্যে রুশ সেনাদের হামলায় তছনছ হয়েছে প্রতিবেশী ছোট্ট এ দেশটি। ১৫ লাখের বেশি মানুষ শরণার্থী হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।