ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের তুরস্ক সফর, সমালোচনায় হামাস

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ও ইসলামিক জিহাদ ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের ঐতিহাসিক তুরস্ক সফরের সমালোচনা করেছে। হারজোগের সফরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হামাস। গতকাল বুধবার ১৪ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো ইসরায়েলি নেতা তুরস্কে সরকারি সফরে যান। ইসরায়েল হায়ম, জিউস নিউজ সিন্ডিকেট।

ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের তুরস্ক সফর

এক বিবৃতিতে তুরস্ক কিংবা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নাম উল্লেখ না করে হামাস বলেছে, হারজোগের সফরকে তারা খুব উদ্বেগের সাথে নিয়েছে। হারজোগ এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতারা বেশ কয়েকটি আরব ও ইসলামিক দেশ সফর করছেন। হারজোগের সফরের সময়ে বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা তুরস্কে অবস্থান করছেন।

হামাস আরব এবং ইসলামিক দেশগুলোতে এই ধরনের সফরের জন্য ক্ষুব্ধ। যা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি কৌশলগত অবস্থানের বিষয়ে বার্তা দেয়। হামাসের বক্তব্য, আমরা আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই, ইহুদিবাদী সত্তাকে এই অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করার এবং এই অঞ্চলের জনগণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার সুযোগ না দেওয়ার জন্য।

গাজার শাসকরা আরও বলেছে, ইসরায়েল সর্বদা আমাদের মর্যাদা লঙ্ঘন করে এবং জেরুজালেম ও আল-আকসা মসজিদকে ইহুদিবাদীদের কেন্দ্রস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তারা গাজা উপত্যকায় অবরোধ অব্যাহত রেখেছে। আমরা তাদের দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।

ইরান-সমর্থিত প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ বলেছে, ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের যেকোনো আরব প্রচেষ্টা জেরুজালেম এবং ফিলিস্তিনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার সমতুল্য। হারজোগের এ সফর জেরুজালেমে আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ইহুদিবাদী তৎপরতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

ইসলামিক জিহাদ জানিয়েছে, পবিত্র স্থানগুলোকে ইহুদিরা দখলের পরিকল্পনা করছে। আল-আকসা মসজিদে বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় এসেছে। হারজোগের সফর ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শত্রুদের একটি অর্জন। শহীদদের রক্তকে উপেক্ষা করে যারা গাজা উপত্যকায় অবরোধ দিয়েছে। হারজোগের সফর ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে তুর্কি জনগণের অবস্থানকে বিতর্কিত করে।

এক সময় ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভাল ছিল। তবে গাজার উদ্দেশে তুরস্কের পাঠানো ত্রাণের জাহাজে ২০০৭ সালে ইসরায়েলের হামলায় সেই সম্পর্কে ফাটল ধরে। অবশ্য ২০১৬ সালের জুনে দুই দেশ বলেছিল, তারা সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। লাভজনক ভূমধ্যসাগরীয় গ্যাস চুক্তির সম্ভাবনার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগের কারণে তারা এক হতে চেয়েছিল। কিন্তু কূটনৈতিক সম্পর্ক শীতল থেকে যায়। কারণ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের নীতির স্পষ্ট সমালোচক।