জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে সেই স্নাইপার ওয়ালি

ওয়ালি। তার নাম জানা যায় এতটুকুই। অবশ্য এটা তার আসল নাম নয়। আফগানিস্তানে যখন দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন তখন তাকে এ উপাধি দেওয়া হয়েছিল। যার অর্থ অভিভাবক বা বন্ধু। এ ছাড়া তার ব্যাপারে আর কিছুই জানা যায় না। কেবল একটা জিনিসই জানা যায়, সেটা হচ্ছে- তিনি এক ভয়ংকর সুন্দর স্নাইপার। কাজটা তার মানুষ মারা। কিন্তু সেটাকেই এতটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে, উপাধিটা তার সাথে মানানসই হয়ে গেছে। দুই মাইল দূর থেকে নিশানা করে যখন শত্রুকে ধ্বংস করে দেয় কেউ, তখন তাকেই তো বলতে হয়, ভয়ংকর সুন্দর। খবর নিউইয়র্ক পোস্ট।

ভয়ংকর সুন্দর স্নাইপার ওয়ালি

সেই ওয়ালি এখন ইউক্রেনে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহ্বানে যোগ দিয়েছেন যুদ্ধের ময়দানে হাজিরা দিতে। বাড়িতে স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে রেখে চলে এসেছেন রণভূমিতে। এদিকে তাকে পাশে পেয়ে সাহস বেড়েছে ইউক্রেনিয়ানদের।

জানা গেছে, গত ৪ মার্চ ইউক্রেনে এসেছেন ওয়ালি। ইউক্রেনে নামতেই তাকে ঘিরে ইউক্রেনবাসীর উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ওয়ালির সঙ্গে হাত মেলাতে হুড়োহুড়ি অবস্থা। সবাই শুধু একবারের জন্য ছুঁতে চান তাকে।

নিজের পছন্দের রাইফেল হাতে ওয়ালি

ওয়ালির পরিচয় সম্পর্কে জানা গেছে, রয়্যাল কানাডিয়ান বাহিনীর ২২ নম্বর রেজিমেন্টের অন্যতম এই সদস্যের বয়স ৪০ বছর। দেশের সেনাবাহিনীতে কাজ করার সঙ্গেই তার শখ স্নাইপার বন্দুকটি নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো। তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী একটি ‘ম্যাকমিলান ট্যাক-৫০’ রাইফেল। সেটা নিয়েই কখনো তিনি চলে যান আফগানিস্তানে। আবার কখনো ইরাকে। ইরাকেই দু’মাইলেরও বেশি দূরত্বে বসে আইএস জঙ্গিকে খতম করে দিয়েছিলেন ওয়ালি। তারপর থেকে তিনি সবার চোখে সম্ভ্রমের পাত্র।

স্নাইপাররা যে কোনো সামরিক বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কিন্তু তাদের মধ্যেও ভাগ আছে। একজন ভালো স্নাইপার প্রতিদিন প্রায় ৫-৬টি অপারেশন চালাতে পারে। একজন দুর্দান্ত স্নাইপার ৭-১০ এর শিকারীকে ঘায়েল করতে পারে। ওয়ালির ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। সে প্রতিদিন ৪০টির বেশি অপারেশন চালাতে পারে। এ বিষয়টি তাকে বিশ্বের সামরিক বাহিনীর মধ্যে কিংবদন্তি করে তুলেছে।