ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রত্যয় তিন নেতার

ইউরোপের তিন দেশের নেতারা ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও জনগণকে আশ্বাস দিয়েছেন, আপনারা একা নন। আপনাদের লড়াইটা আমাদেরও এবং এই লড়াইয়ে আমরা জয়ী হব। গতকাল পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীরা কিয়েভ ভ্রমণ করেন।

পিটার ফিয়ালা, মাতিউস মোরাভিয়েস্কি ও ইয়ানেস ইয়ানশা

যেখানে তারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে দেখা করেন। নেতারা হলেন- চেক প্রধানমন্ত্রী পিটার ফিয়ালা, পোল্যান্ডের মাতিউস মোরাভিয়েস্কি ও স্লোভেনিয়ার ইয়ানেস ইয়ানশা। বিবিসি।

স্লোভেনিয়ার ইয়ানে ইয়ানসা ইউক্রেনের জনগণকে বলেছেন, আপনারা একা নন। আপনাদের লড়াইটা আমাদেরও এবং একসাথে আমরা জয়ী হব। চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা বলেছেন, আপনি শুধু আপনার জীবনের জন্য লড়াই করছেন না, আপনি স্বাধীনতার জন্য লড়ছেন। কিন্তু আপনার লড়াই গোটা ইউরোপের লড়াই।

তিনি জেলেনস্কির সাহসের প্রশংসা করে বলেন, আমরা আরও সাহায্য এবং সমর্থন প্রদান অব্যাহত রাখব। ইউরোপ ইউক্রেনের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আপনি ইউক্রেনের গৌরব। গত মাসে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ইউক্রেনে বিদেশি নেতাদের এটাই প্রথম সফর।

বৈঠক চলাকালীন বিস্ফোরণের শব্দ: তিন দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বৈঠকের সময় কিয়েভের পশ্চিম প্রান্তে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কিয়েভজুড়েই ছিল হামলার শব্দ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, রাজনীতিবিদরা কোনো নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট বহন করছেন না, তবে ব্রাসেলসের নেতারা এই সফর সম্পর্কে সচেতন ছিলেন, যেমনটি গত সপ্তাহে ফ্রান্সের ভার্সাইতে একটি অনানুষ্ঠানিক ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের সময় উল্লেখ করা হয়েছিল।

পোল্যান্ডের ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সিন প্রজাইডাকসও সফরকারী নেতাদের সঙ্গে যোগ দেন। তিনি স্বীকার করেছেন সফরটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে মূল্যবোধের স্বার্থে নেওয়া সিদ্ধান্তটি মূল্যবান ছিল। তিনি বলেন, রাশিয়ানদের জন্য এই সফরে বার্তা রয়েছে।

নেতারা ট্রেনে ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ পোলিশ সামরিক জেট বিমানে উড়ে যাওয়াকে রাশিয়া বিপজ্জনকভাবে উস্কানিমূলক বলে মনে করতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বারবার ন্যাটোকে তার দেশের আকাশসীমায় নো-ফ্লাই জোন আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু ন্যাটো তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

জেলেনস্কি বলছেন, কয়েক বছর ধরে শুনছি, ন্যাটোর দরজা খোলা, কিন্ত আসলে তা নয়। এটিই এখন সত্য ও স্বীকৃত। এটা আমাদের আনন্দিত করেছে, কারণ আমাদের লোকেরা নিজেদের ওপর নির্ভর করতে শিখে গেছে। মঙ্গলবার কিয়েভে রাশিয়ার বোমা হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা দিয়েছেন।