থেমে যাচ্ছে ‘মার্কিন সামরিক শক্তির অন্যতম বড় নিদর্শন’

বিশ্বের সেরা সামরিক শক্তির দেশগুলোর কাছে যুদ্ধজাহাজ অত্যন্ত প্রেস্টিজিয়াস একটি ইস্যু। বড় আকারে যুদ্ধ লাগলে এর অবদান নেহায়েত কম নয়। যুদ্ধের গতি পাল্টে দেয়া শত শত যুদ্ধবিমান বা জেটবিমান এসব যুদ্ধজাহাজ বা রণতরীর মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। জাহাজের ডেক থেকে উড়ে গিয়ে এসব বিমান বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে আবার জাহাজেই অবতরণ করে।

বিশালাকৃতির কিটি হক

এমনই একটি মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ ‘কিটি হক’। ভিয়েতনাম থেকে শুরু করে প্রথম ইরাক যুদ্ধ- আমেরিকার বহু রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সাক্ষী এই যুদ্ধজাহাজ যাত্রা শুরু করে ১৯৬০ সালে। এটি এক হাজার ৪৭ ফুট লম্বা এবং ২৫২ ফুট চওড়া।

একটা সময়ে কিটি হক ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে মার্কিন সামরিক শক্তির সবচেয়ে বড় নিদর্শন ছিল। রাশিয়ার সঙ্গে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের সময় বিশেষ দক্ষতার স্বাক্ষর রাখে এটি। এক সময় রাশিয়া সাবমেরিন দিয়ে হামলা চালিয়ে কিটিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু কিটি সে দফায় বেঁচে যায়।

কিটি হক চলছে মৃত্যুপানে

জানা গেছে, কিটি হকই আমেরিকার শেষ তেলচালিত বিমানবাহী জাহাজ। এর পরের বিমানবাহী রণতরীগুলোর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় পরমাণু শক্তি। প্রায় ৫০ বছর ধরে পরিষেবা দেওয়ার পর অবশেষে ২০০৯ সালে কিটি হককে অভিযানের জন্য বাতিল ঘোষণা করে আমেরিকার সামরিক বিভাগ। ২০২১ সালে টেক্সাসের ইন্টারন্যাশনাল শিপব্রেকিং লিমিটেড ব্রাউনসভিল আমেরিকার সামরিক বিভাগের কাছে থেকে জাহাজটিকে কিনে নেয়।

জাহাজটি বর্তমানে ওয়াশিংটন থেকে ১৬ হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে টেক্সাসের পথে ভেসে যাচ্ছে। সেখানেই জাহাজটিকে ভেঙে ফেলা হবে। থেমে যাবে কিটি হকের যাত্রা।