ইউক্রেনের সামরিক শক্তির নতুন তথ্য দিলেন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ

যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই। যত তাড়াতাড়ি পুতিন বাহিনী সফলতা লাভ করবে বলে মনে হচ্ছিল, লড়াইয়ের ময়দানে তা দৃশ্যমান হয়নি। অনেকে মনে করছেন, কিয়েভ দখলে সময় লাগবে; আবার অনেকে বলছেন, যেকোনো সময় কিয়েভের পতন হবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের এক সামরিক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে অপদস্ত করা হচ্ছে। ইউক্রেনের সামরিক কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ‘ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ড’। বিবিসি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার বিমান হামলা

রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (আরইউএসআই) থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মাইকেল ক্লার্ক বলছেন, রাশিয়ানরা প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে কৌশলগত ভুল করছে এবং তা ঘটা সম্ভব। বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে প্রোগ্রামে তিনি ব্যাখ্যা করেন, রাশিয়ান সৈন্যরা সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত একটি বাহিনীর মতো মনে হচ্ছে। তারা ইউক্রেনের অভিযান কেমন হতে পারে তা আগে থেকে চিন্তা করেনি।

তিনি বলেন, ইউক্রেনীয়রা সমস্ত এলাকায় রাশিয়ার অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিচ্ছে। এমনকি এখন বেশ কার্যকর পাল্টা আক্রমণ পরিচালনা করছে। রাশিয়ানরা প্রচুর সরঞ্জাম এবং সৈন্য হারাচ্ছে। যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের শক্তিশালী কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে, যা ‘ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ড’। এই ব্যবস্থা ২০১৪ সাল থেকে ন্যাটো দেশগুলোর সহায়তায় নির্মিত হয়েছিল।

ইউক্রেনের সেনারা বিশেষ কৌশলে যুদ্ধ করছেন

আজ শুক্রবার সকালে লভিভের একটি বিমান রক্ষণাবেক্ষণ প্ল্যান্টে হামলা করেছে রুশ বাহিনী। এটি স্পষ্ট করে দেয়, ইউক্রেনে বিমানবাহিনীকে টার্গেট করেছে পুতিন বাহিনী। তারা চাচ্ছে, ইউক্রেনের বিমান আর আকাশে না উড়ুক। এজন্য বিমান প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় তারা আঘাত করছে।

পোলিশ সীমান্ত থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিমের শহর লভিভ। এ শহরে আঘাত করার মাধ্যমে মূলত ইউক্রেনীয়দের আঘাত করার চেয়ে রুশ বাহিনীর উদ্দেশ্য পশ্চিমাদের ভয় দেখানো।

পোল্যান্ডে পালিয়েছে প্রায় ২০ লাখ: পোলিশ বর্ডার গার্ড এজেন্সি শুক্রবার জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেন থেকে অন্তত ২০ লাখ মানুষ পোল্যান্ডে পালিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবারও ৫২ হাজার ৫০০ মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করেছে। ওয়ারশ ইউনিভার্সিটির মাইগ্রেশন রিসার্চ প্রফেসর ম্যাকিয়েজ ডুসজিকের মতে, ৫ লাখের বেশি শরণার্থী পোল্যান্ড থেকে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছে।